অন্তর্বর্তী সরকারকে সবাই ব্যতিব্যস্ত রেখেছে, যাতে নির্বাচন না হয় : ফখরুল

| শুক্রবার , ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ at ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচন ঠেকানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ঢাকা শহরে যাওয়া যায় না, বিভিন্ন ইস্যুতে ঢাকাতে আন্দোলন আর আন্দোলন চলছে। এখন এই দুর্বল সরকারটা, মানে অন্তর্বর্তী সরকার; তার পেছনে কোনো লোকও নাই। এই সরকারকে এত ব্যতিব্যস্ত করে রাখার কোন মানে আছে বলেন? এভাবে ব্যতিব্যস্ত করে রাখার একটাই উদ্দেশ্যযাতে নির্বাচনটা যেন না হয়, তার ব্যবস্থা করা।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের দানারহাট ঈদগাঁ মাঠে বিএনপির আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তবে নির্বাচনে বিএনপি কোনো আপস করবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ নির্বাচন চায়, জনগণ ভোট দিতে চায় এবং তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চায়। এই ভোটে আমরা কোনো আপস করবো না। জনগণও কোনো আপস করবে না। খবর বিডিনিউজের।

পিআর পদ্ধতির দাবি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা ভোট একটাই বুঝিআমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব। সেটা এক ব্যক্তিএক ভোট। আর পিআরটা হচ্ছেওটা কোনো ব্যক্তিকে ভোট দিব না, দলকে ভোট দিব। সর্বনাশ! কাকে ভোট দিচ্ছি আমি জানব না! দলটাকে ভোট দিলে সেটার কী হবে সেটাও বলতে পারব না ঠিকমত। তাহলে সেই ব্যবস্থায় আমি যাবো কেন?

ফখরুল বলেন, এজন্য ঐসব পিআর বাদ দিয়ে আসেন সঠিকভাবে নির্বাচনটা করে যেই জিতবে, মানুষ যাকে ভোট দিবে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে এবং তারা সরকার গঠন করবে। আর বাকি সবাইকে নিয়ে আমরা এই সমস্যাগুলোর সমাধান করব।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রফেসর ইউনূস, বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তি; তিনি বলেছেন২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আমরা চাই সেই নির্বাচনটা হোক, সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার একটা পথ খুঁজে পাব। তিনি বলেন, আজকে যে সুযোগটা আল্লাহ আমাদেরকে দিয়েছে, একটা মুক্ত বাতাস, একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার। নিজের ভোট নিজে দেওয়ার এবং আপনার পার্লামেন্ট আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন; আপনার সরকার আপনি গঠন করবেন। এই সুযোগটা এখন আমরা পেয়েছি।

গত ১৫ বছরে জনগণের সামনে আসার, সেবা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আমার এখন ৭৮ বছর বয়স, আপনাদের সামনে আবার আসছি। এবার আল্লাহর অশেষ রহমতে সেই সুযোগটুকু আপনাদের কাছে চাই। আমরা পরীক্ষিত দল, সরকারে ছিলাম, আল্লাহ যদি সুযোগ করে দেয় তাহলে আবার সরকারে যাব এবং জনগণের জন্য কাজ করব। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা যদি ক্ষমতায় আসতে পারি, আমরা যদি আপনাদের ভোটে জয়ী হতে পারি, তাহলে নিঃসন্দেহে আমরা যে প্রতিজ্ঞাগুলো করেছি ৩১ দফার, সেগুলো পুরোপুরি পালন করব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন ও জলাবদ্ধতামুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই
পরবর্তী নিবন্ধগুমাই বিলে ভাল ফলনের আশা