লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ হল রুমের বাইরে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অনুষ্ঠান চলাকালীন হল রুমের বাইরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানের সাথে আধুনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবালের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মিজান রাগান্বিত হয়ে ইকবালকে চড় থাপ্পর মারে। এই সময় উপস্থিত লোকজন বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করেন। এই ঘটনার জের ধরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এক কমিউনিটি সেন্টারে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় পুনরায় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উপস্থিত লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে আধুনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবালকে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের বিদায় এবং বরণ অনুষ্ঠান চলাকালীন হল রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ইকবাল তাকে উদ্দেশ্য করে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেন। এতে ইকবালের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে কমিউনিটি সেন্টারে তার উপর আক্রমণ করেন। এই ঘটনায় তিনি সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনাস্থলে আধুনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবালকে কোনো কারণ ছাড়াই চড় থাপ্পর মারে মিজান। পরে এই ঘটনার ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য এম এ মোতালেবকে বিচার দেয়ার জন্য কমিউনিটি সেন্টারে যান উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ। সেখানে মিজানের উপর আক্রমণ করার বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।