সকল বয়েসী মানুষের যেন ফাস্ট ফুড ছাড়া চলেই না। আমরা এই অভ্যাস শুধু নিজেদের ক্ষতি করছি না সাথে সাথে কোমলপ্রাণ শিশুদেরও অভ্যস্ত করে ফেলেছি। আমাদের স্কুল গুলোতে প্রত্যেকটা ক্যান্টিনে যদি মিঙড ফল কিংবা পুষ্টিকর খাদ্য যদি বিক্রি হত তাহলে শিক্ষার্থীদের সু–অভ্যাস গড়ে উঠতো। প্রতিদিন বিদ্যালয়ের ক্যান্টিন গুলোতে যে পরিমাণ ফাস্টফুড বিক্রি হয় সেগুলোর পরিবর্তে যদি কাচা ফল যেমন কলা,আপেল,কমলা, আংগুর কিংবা সিদ্ধ ডিম বিক্রি শুরু হয় তবে শিশুশ্রেণি থেকে শুরু করে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর ফল কিংবা খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস বাল্যকাল থেকেই চর্চা হতো।
আমাদের দেশের মানুষের শিশুকাল থেকে ফাস্ট ফুডের উপর নির্ভরতার ফলস্বরূপ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। দিন দিন সেটা বেড়েই চলেছে। এর প্রধান কারণ কিন্তু আমাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। তেল, ভাজা, পোড়ায় আমরা এতোটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি, প্রতিদিন আমাদের পাকস্থলীতে কোন ধরনের খাবার যাচ্ছে সেটা যদি আমরা লক্ষ্য করি তবে শুরুতেই আসবে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। লক্ষ্য করে দেখা গেছে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম থেকে শুরু করে প্রতিটি শ্রেণিতে কমপক্ষে দুই থেকে তিন জন শিক্ষার্থী পেট ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছে, কিংবা পেটের সমস্যায় ভুগছে, ছুটি নিয়ে বাসায় চলে যেতে চাইছে। এর পরোক্ষ কারণ কিন্তু ফাস্ট ফুড যা কোমলমতি শিশুদের পেটে কোনো না কোনোভাবে যাচ্ছে এবং তারা অসুস্থতায় ভুগছে। তাই প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্যান্টিনে কিংবা বাসা থেকে যদি ফল টিফিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে শিশুকাল থেকেই ফল খাওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হবে। ফাস্ট ফুড কিংবা জাংক ফুডের উপর নির্ভরতা কমে যাবে। কোলেস্টেরল, কোলন ক্যান্সার এর মতো ক্ষতিকর রোগ গুলো থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব হবে।