মিয়ানমার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র। গত ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং ভোরে সেদেশের সেনাবাহিনী জোরপূর্বক দখলে নেয় রাষ্ট্রক্ষমতা। স্টেট কাউন্সিলর ও (এন এল ডি) প্রধান অংসান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইনমিন্টসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার, সংবিধান স্থগিতসহ এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সেনাবাহিনী। অতঃপর দেশের ক্ষমতা কমান্ডার ইন চীপ (সেনা প্রধান) মিন অং হেইংয়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে মর্মে একটি বিবৃতি প্রদান করেন। সেনাবাহিনীর জেনারেল ইউ মিন্ট সুয়েকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ক্ষমতা গ্রহণের পরদিন মন্ত্রিসভার ২৪ জন সদস্যকে বহিষ্কার করে তদস্থলে সামরিক বাহিনীর লোকদের নিয়োগ প্রদান করা হয়। উপরন্তু এক বছরের জরুরি অবস্থা শেষে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়। যেটির মধ্য দিয়ে পুনরায় সামরিক শাসনের কবলে পতিত হলো মিয়ানমার। এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনায় জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত, অস্ট্রেলিয়াসহ আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। বাংলাদেশও মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহবান জানিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। এমনকি মিয়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে (এন এল ডি) নেত্রী অংসান সু চি সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য তাঁর দেশের জনগণের প্রতি আহবান জানান। উল্লেখ্য যে, ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে মিয়ানমার। স্বাধীনতা পরবর্তী সুদীর্ঘ ৭২ বছরের পথ পরিক্রমায় দেশটি প্রায় ৫ দশক পর্যন্ত সামরিক শাসনাধীনেই পরিচালিত হয়। অনস্বীকার্য বাস্তবতা হলো, দীর্ঘ সেনা শাসনকালীন মিয়ানমারে একাধিকবার গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা দৃশ্যমান হলেও দেশটি কখনও সেনাবাহিনীর অশুভ প্রভাবমুক্ত ছিল না। কেননা ইতোপূর্বেকার জান্তা আমলে এমন কতিপয় অসম বিষয় সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক ধারা বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। যেমন-পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসনের সদস্য সরাসরি সেনাবাহিনী থেকে প্রতিনিধিত্ব করা, সরকারের মূল মন্ত্রণালয়গুলি সেনাবাহিনী কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি। মোদ্দা কথা হচ্ছে, মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় যাবতীয় কর্মকাণ্ডে অপেক্ষাকৃত আধিপত্য ছিল সেনাবাহিনীর। যে ধারাবাহিকতায় এযাবতকাল পর্যন্ত সু চি সেনাবাহিনীর সাথে ভাগাভাগি করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করেই আসছিল। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, বিগত ৮ নভেম্বর ২০২০ইং এর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনী এবং এন এল ডির পারস্পরিক মধ্যকার সম্পর্কে সৃষ্টি হয় টানাপোড়েন। কেননা সদ্য সমাপ্ত উক্ত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন অংসান সু চির দল এন এল ডি অবাক করা বিজয় অর্জনে সক্ষম হয়। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৩২২ আসনের প্রয়োজন পড়লেও উক্ত নির্বাচনে এন এল ডি অর্জন করে ৩৪৬টি আসন। আর ব্যাপক ভরাডুবি হয় সেনা সমর্থিত রাজনৈতিক দল (ইউ এস ডি পির)। যৎকারণে সেনাবাহিনী কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি উক্ত নির্বাচনের ফলাফল। তখন থেকেই সেনাবাহিনী উক্ত নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনে প্রেসিডেন্ট ও নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকিও প্রদর্শন করে আসছিল। গত ০১ ফেব্রুয়ারী ২১ সোমবার সংসদের প্রথম অধিবেশন এর সিডিউল ছিল। অপরদিকে উক্ত অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অহবান জানানো হয়। কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী দল এন এল ডি এ আহবান প্রত্যাখ্যান করে। ফলশ্রুতিতে এসবের চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে ঘটে গেল এ অভ্যুত্থান। এখানে এটি উল্লেখ না করলেই নয় যে, দীর্ঘ ৩ দশকের সামরিকতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করতে গিয়ে অংসান সু চিকে ১৫ বছর অন্ধকার কারাগারকে আলিঙ্গন করতে হয়েছিল। যেকারণে তিনি বিশ্ব সমপ্রদায়ের সমীহ আদায় সহ নিজেকে গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষমতা অর্জন করেন। পাশাপাশি তিনি গণতন্ত্রের মানসকন্যা খ্যাতিও লাভ করেন। এছাড়া শান্তিতে নোবেল সহ একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারেও ভূষিত হন। এমনকি ২০১০ সালে অংসান সু চিকে মুক্তি দিয়ে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছিল তৎকালীন সামরিক সরকার। তখনকার নির্বাচনে অংসান সু চির দল এন এল ডি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য, দীর্ঘ সামরিক শাসনের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত মিয়ানমারের জনগণ একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার যে মহান স্বপ্ন নিয়ে সু চির দল এন এল ডিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছিল কিন্তু সু চির দল এন এল ডি তা পূরণ করতে সক্ষম হয়নি। কারণ স্টেট কাউন্সিলর হিসেবে সু চির অপেক্ষাকৃত দুর্বল নেতৃত্ব, নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ঔদাসীন্যতার মতো ইত্যাকার বিষয়াদি ক্ষমতা গ্রহণের প্রারম্ভিক পর্যায় থেকে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের প্রত্যাশা ছিল নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের অধীনে সেনাবাহিনী কর্তৃক সৃষ্ট রাখাইনে রোহিঙ্গা সমপ্রদায়ের নাগরিকত্ব সংকটের আশু সমাধান হবে। মিয়ানমারের জনগণ রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে বৈষম্যমুক্ত হবে। অথচ এক্ষেত্রে দৃশ্যমান হলো ঠিক তার উল্টোটা। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান তো তিনি করেনইনি বরং তাঁর শাসনামলেই এ সমপ্রদায়টি স্মরণকালের ভয়াবহ ও কঠিন বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে। তাঁর সেনাবাহিনী ও উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের যৌথ নেতৃত্বে রাখাইনে পরিচালিত হয় এযাবতকালের বর্বরতম গণহত্যা, ধর্ষণ ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ। রাখাইনে মাইলের পর মাইল রোহিঙ্গা বসতিতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে বিরানভূমিতে পরিণত করে। গোটা রাখাইন রাজ্য পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে। এসময় প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় গ্রহণ করে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। যা নির্দ্ধিধায় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে নিপতিত করেছে বাংলাদেশকে। লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাদের এদেশে শরণার্থী হিসেবে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অবস্থানের কারণে পরিবেশ এর ভারসাম্য নষ্ট ও আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়া সহ বহুমাত্রিক সমস্যায় পড়তে হয়েছে এদেশকে। অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই যে, রোহিঙ্গা সমস্যা কেবল মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও ভুক্তভোগী কিন্তু বাংলাদেশ। উপরন্তু মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতা,সামরিক বাহিনীর সামপ্রদায়িক অভিযান এবং রোহিঙ্গা গণহত্যা এ উপমহাদেশে বড় রাজনৈতিক-সামাজিক সংকট তৈরী করেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, যোগাযোগ, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও পারস্পরিক সম্পর্কসহ ইত্যাকার বিষয়ে বিশাল দূরত্ব তৈরী করে দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের জন্য ইতোপূর্বে “আই সি জেতে” মামলা হয়েছে। জাতিসংঘের তদন্তে কতিপয় সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। যেটিকে জাতিসংঘ “হলমার্ক অব জেনোসাইড” বলে অভিহিত করেছে। এমনকি অনেক রাষ্ট্র কর্তৃক অভিযুক্ত এসব সেনাসদস্যদের উপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে। “আই সি জেতে” মিয়ানমার নেত্রী সু চি কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী এসব সেনাসদস্যদের পক্ষে কথা বলায় তিনি নিন্দিত হয়েছেন এবং তাঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। ফলশ্রুতিতে ইতোমধ্যে সু চির আন্তর্জাতিক একাধিক পুরস্কারও বাতিল এর ঘোষণা দেয় বিভিন্ন দেশ। মিয়ানমারে সংঘটিত এ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় প্রতিবাদ জানালেও অংসান সু চির ১০ বছরের শাসনামলে অস্বচ্ছতা ও ব্যর্থতাকেও আড়াল করা যায় না। এটি অনস্বীকার্য যে, মিয়ানমারের একটি জাতিসত্বাকে নির্মূল করতে সামরিক জান্তা ও উগ্রবাদী বৌদ্ধদের নেপথ্যে সমর্থন যুগিয়ে নির্মম ও নিষ্ঠুর খেলায় মেতে উঠেছিল এ সু চি। বিশ্ব সমপ্রদায়ের সর্বপ্রকার নিন্দা-প্রতিবাদকে তোয়াক্কা না করে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যায় পরোক্ষ নেতৃত্ব দিয়েছেন। গোটা রাখাইন রাজ্য জুড়ে অদ্যাবধি বিদ্যমান রয়েছে এ নির্মমতার ক্ষতচিহ্ন।
অংসান সু চির দুর্বল নেতৃত্ব,গণতন্ত্রের খোলসে সামরিকতন্ত্রের প্রতি নেপথ্য সমর্থন এবং সামপ্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির দরুন মিয়ানমারে সামাজিক সমপ্রীতি, মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। যার অশুভ পরিণতিই হচ্ছে ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ এর সেনা অভ্যুত্থানের পুনরাবৃত্তি। অথচ একসময় যে নেত্রী কারাবন্দি অবস্থায় নোবেল পুরস্কারের মত সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন, বর্তমানে সেই নেত্রীর দল নির্বাচনে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরও তাকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হলো। যাইহোক, মিয়ানমারে সংঘটিত এ অভ্যুত্থানে রাখাইনে থাকা ০৬ লক্ষ রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা অধিকতর ভয়াবহ হতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। তন্মধ্যে ১ লক্ষ ২০ হাজার বিভিন্ন শিবিরে আটক অবস্থায় রয়েছে। যারা কোনভাবেই উন্মুক্ত চলাফেরা করতে পারে না। এহেন পরিস্থিতি তাদের জীবনযাপনকে আরও সংকটাপন্ন করতে পারে। অন্যদিকে বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রিত ০৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াও অনিশ্চয়তায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। যদিও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দু’দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে এবং মিয়ানমারের চলমান অবস্থাতেও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে বলা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অত্যন্ত কৌশলী ভূমিকায় এগুতে হবে। পরাশক্তি চীনের সাথে পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন আবশ্যক বলে মনে করি। কেননা পরাশক্তি চীনের সাথে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। তাই এ মুহূর্তে চীনকেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অন্যতম মাধ্যম ভাবতে হবে। গত ০৮ নভেম্বর ২০২১ ইং এর নির্বাচনে অংসান সু চির দল এন এল ডির নিরংকুশ বিজয়কে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে আশা জাগানিয়া হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এ অভ্যুত্থানে তা অনেকটা ভেস্তে গেছে বলে ধারণা করা যায়। তথাপিও এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, সেনা শাসন কখনও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার বিকল্প হতে পারে না। এ অভ্যুত্থানের দরুণ মিয়ানমারের জনগণ ক্ষোভে ফুঁসছে। একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত গণরায়কে সামরিক জান্তার বুটের নীচে পিস্ট করার এ জঘণ্য বর্বরতা মিয়ানমারের জনগণ মেনে নেবে বলে মনে হয়না। এটির বিরুদ্ধে প্রথমদিকে জোরালো প্রতিবাদ দৃশ্যমান না হলেও ক্রমান্বয়ে জনগণ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠছে। ক্ষমতা দখলের পরপরই সর্বপ্রথম প্রতিবাদে নেমে পড়ে চিকিৎসাকর্মীরা। অতঃপর শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মী এবং শিক্ষকরা ধীরে-ধীরে আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত হয়েছে। অভ্যুত্থান বিরোধী বিবিধ স্লোগানে প্রকম্পিত করে ইয়াংগুন সহ বিভিন্ন জায়গা। ইয়াঙ্গুনের ড্রাগন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখেও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ক্রমাগত জোরদার হচ্ছে গণতন্ত্রের লড়াই। যেখানে দণ্ড-মুণ্ডের কর্তা সামরিকবাহিনী, সেখানে আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া জনগণের আর কি-ই বা করার থাকতে পারে। কার্যকর তীব্র গণ আন্দোলনের মাধ্যমেই হয়ত মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে। আমরা আশা করি মিয়ানমারের জনগণ ভোট দিয়ে যাদের নির্বাচিত করেছে, সেই রায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে সেনাবাহিনী সেদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাবে।
লেখক : প্রাবন্ধিক ও রাজনীতিবিদ