অনিয়মের তথ্য জানতে সিডিএতে দুদক টিম

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও আউটার রিং রোড নির্মাণ প্রকল্প

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৬:০২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও আউটার রিং রোড নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে গতকাল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় ১ এর একটি এনফোর্সমেন্ট টিম গতকাল দুপুরে এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও আউটার রিং রোড নির্মাণ প্রকল্পের নথিপত্র পর্যালোচনা ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মোহাম্মদ ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে সিডিএ’র সচিব রবীন্দ্র চাকমার বক্তব্যও গ্রহণ করা হয়। তিনি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং আউটার রিং রোড প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন বলে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে সিডিএ সচিব ফোন না ধরায় এই ব্যাপারে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ফাটল, র‌্যাম্প সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রকল্পের খরচ বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান দুদকের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, লালখান বাজার সংলগ্ন কয়েকটি পিলারে ফাটলের বিষয়টি বিশেষজ্ঞ টিম গঠনের মাধ্যমে পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। বিশেষজ্ঞ টিম ইতিবাচক মতামত প্রদান করায় লালখান বাজারস্থ র‌্যাম্পটি পরবর্তীতে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। তাছাড়া, ডিপিপিতে ১৪ টি র‌্যাম্প নির্মাণের উল্লেখ থাকলেও সিডিএ কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভার মাধ্যমে আপাতত ৯ টি র‌্যাম্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তিনি এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে মর্মে জানান।

অপরদিকে আউটার রিং রোড নির্মাণ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রকল্পের জনবল নির্ধারণ বিষয়ক কমিটির সুপারিশ পরিপূর্ণ অনুসরণ না করেই চউকের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামসকে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়া উক্ত প্রকল্পের অন্যান্য জনবল নিয়োগে বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। উক্ত প্রকল্পে কর্মরত সিডিএ’র ৭ জন নিজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রকল্প ভাতা গ্রহণে অনিয়মের বিষয়ে সিডিএ সচিব রবীন্দ্র চাকমার বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। তিনি জানান, অনিয়মের বিষয়টি তাদের কাছে তদন্তাধীন। তিনি সিডিএতে বিদ্যমান বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় স্বীকার করেন এবং এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন বলেও জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্বদানকারী দুদক কর্মকর্তা সাঈদ মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ও আউটার রিং রোড নির্মাণে অনিয়মের বিষয়টি নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিকট থেকে রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। কিছু রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। আরো কিছু রেকর্ডপত্র দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্রাদি পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম অতি দ্রুত কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, দুদক, প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় ১ এই অভিযান পরিচালনা করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাবেক সিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলাম গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধবড় চ্যালেঞ্জ এক লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রকল্প