সদ্য বিদায়ী ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ১৭ লাখের বেশি ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতা অনলাইনে আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন দাখিল করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কর আদায়ের সংস্থাটি বলছে, অটোমেশনের আওতায় অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে করদাতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং স্বতঃস্ফূর্ত রিটার্ন দাখিলে করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করেছে।
সম্মানিত করদাতাদের চাহিদা ও মতামতের ভিত্তিতে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া ক্রমে সহজিকরণ ও অধিকতর করদাতাবান্ধব করার ফলে ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ১৭ লাখ ১২ হাজার ৪৯২ জন করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। এ সময় ২১ লাখ ৬৫ হাজার ৩২১ জন করদাতা ই–রিটার্নের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন বলেও তুলে ধরা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। খবর বিডিনিউজের।
সংস্থাটি বলছে, নতুন অর্থবছরজুড়েই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল এবং অনলাইনে তাৎক্ষণিক আয়কর সনদ দেওয়া অব্যাহত থাকবে। এতে করদাতারা নতুন অর্থবছরের প্রথম দিন থেকেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। এনবিআর বলছে, রিটার্নে ভুল হলে দাখিলের ১৮০ দিনের মধ্যে ঘরে বসে সহজেই অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করা যাবে।
বিগত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে এনবিআর সরকারি ও বেসরকারি খাতের কিছু করদাতাদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করে। ফলে অনলাইনে আগের তুলনায় বেশি রিটার্ন জমা পড়ে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সব সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারী ও দেশের সব তফশিলি ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর এবং বেশ কিছু বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১২ লাখের মত মানুষের কর শনাক্তকরণ নম্বর বা ই–টিআইএন নিবন্ধন রয়েছে। ২০২৩–২০২৪ অর্থবছরে মোট পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৭ জন করদাতা ই–রিটার্ন দাখিল করেন।