চট্টগ্রাম কাস্টমসে অনলাইনে (ই–পেমেন্ট) শুল্ক কর পরিশোধ করতে দিনভর ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। শুল্ক পরিশোধ করতে না পারায় অনেক ব্যবসায়ী নির্ধারিত সময়ে পণ্য খালাসও করতে পারেনি। এছাড়া আজ ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সরকারি ছুটি। শুল্ক পরিশোধ করতে না পারায় ব্যবসায়ীদের
এখন গুনতে হবে দুইদিনের পোর্ট ডেমারেজ। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তারা বলছেন, ই–পেমেন্টের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সার্ভারের সাথে ব্যাংকের সার্ভার সংযুক্ত থাকে। তবে কোনো একটি সার্ভারের ত্রুটি দেখা দিলে সমস্যা হতে পারে। বিষয়টি পুরোপুরি টেকনিক্যাল। বিকেলের দিকে সার্ভারের সমস্যা
সমাধান হয়ে গেছে শুনেছি। তবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। কাস্টমসে অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করতে কোনো সমস্যা হয়নি।
আমদানি–রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউজার আইডি দিয়ে আরটিজিএস (রিয়েলটাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) গেটওয়ের মাধ্যমে শুল্ক পরিশোধ করা বিশ্বব্যাপী একটি স্বীকৃত পন্থা। গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সব ধরনের শুল্ক কর পরিশোধ অনলাইনে বাধ্যতামূলক করে এনবিআর। এর আগে ২০২১ সালের জুলাই মাস
থেকে কেবল ২ লাখ টাকার ওপরের শুল্ক পরিশোধ অনলাইনে নেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।
জানা গেছে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নির্দেশনা মোতাবেক বাণিজ্য সহজীকরণের অংশ হিসাবে এনবিআর গত ২০১৭ সাল থেকে ই–পেমেন্ট সিস্টেম চালু করে। এ পদ্ধতিতে আমদানিকারক বা তার মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি ট্রেজারিতে
শুল্ক–করের অর্থ পরিশোধ করতে পারেন।
ই–পেমেন্টে ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম রাব্বানি রিগ্যান দৈনিক আজাদীকে বলেন, ই–পেমেন্টে আজ (গতকাল) ব্যবসায়ীরা বলতে গেলে শুল্ক পরিশোধ করতে পারেনি। এর আগেও আমরা বিভিন্ন সার্ভার সংক্রান্ত সমস্যায় পড়েছি। তবে সেটি
এতটা প্রকট ছিল না। এবার সকাল থেকে শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আমরা আরটিজিএস পেমেন্ট করতে পারেনি। এর ফলে পণ্য খালাস করা সম্ভব হয়নি। শুল্ক পরিশোধ করতে না পারলে তো আর পণ্য খালাসের পেপার রেডি করা সম্ভব না। এরমধ্যে সমস্যা হয়ে গেছে, আগামীকাল (আজ) ২১ ফেব্রুয়ারির বন্ধ।
অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা ২ দিনের জন্য আটকে গেলেন। সার্ভারের কারণে হোক আর যে কারণেই হোক, পোর্ট ডেমারেজ তো আর মাফ হবে না। তবে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হলেন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ–কমিশনার ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুনশি দৈনিক আজাদীকে বলেন, অনলাইনে শুল্ক কর পরিশোধের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কাস্টমসের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল।