অনলাইনে প্রয়াত রাইসিকে অপমানকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

| বুধবার , ২২ মে, ২০২৪ at ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ

প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে অপমান করে অনলাইনে মন্তব্য, ছবি বা ভিডিও পোস্ট করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের প্রসিকিউটর জেনারেল মোহাম্মদ কাজেম মোবাহহেদি আজাদ। সোমবার প্রেসিডেন্ট রাইসির নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়ার পরপরই প্রসিকিউটর জেনারেল আজাদ অনলাইনে রাইসিকে অপমানকারীদের গ্রেপ্তার করার কথা বলেন বলে জানায় বিবিসি। খবর বিডিনিউজের।

গত রোববার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ তাদের সঙ্গে থাকা মোট নয়জন। সেদিন তারা আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় আরাস নদীর ওপর একটি বাঁধ প্রকল্প উদ্বোধনের পর উত্তরপূর্বাঞ্চলের শহর তাবরিজে ফিরছিলেন। ঘন কুয়াশার মধ্যে হেলিকপ্টারটি পার্বত্যাঞ্চলে দুর্ঘটনায় পড়ে বলে জানান ইরানি কর্মকর্তারা। দুর্ঘটনাস্থল থেকে সোমবার মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। রাইসির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পরপরই কট্টোর ইসলামিক সরকারপন্থি ইরানিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের শোক প্রকাশ করা শুরু করেন।

অন্যদিকে, ভিন্ন মতাবলম্বীরা ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের পর ১৯৮০র দশকে কয়েক হাজার রাজনৈতিক কারাবন্দিকে হত্যার ঘটনায় রাইসির সংশ্লিষ্টতাকে তুলে ধরেন। কেউ কেউ রাইসির আমলে ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়া হিজাব বিরোধী আন্দোলনে যেভাবে নিপীড়নের মাধ্যমে ইরান সরকার আন্দোলন দমন করে সেকথা তুলে ধরে তার মৃত্যুতে খুশি প্রকাশ করেছেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তেহরানে নীতি পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যু ঘিরে ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। যে আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন নারীরা। হিজাব বিরোধী ওই আন্দোলন একসময় ইরানের কট্টোরপন্থি ইসলামিক শাসকদের বিরুদ্ধে এবং তাদের পতনের দাবিতে গণআন্দোলনে পরিণত হয়। যে আন্দোলন ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর দেশটিতে সবচেয়ে বড় গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে সরকার পতনের দাবিতে ইরান জুড়ে ওই আন্দোলন চললেও শেষ পর্যন্ত রাইসি সরকারের কঠোর দমনপীড়নে মাঝপথেই রণেভঙ্গ দিতে হয় আন্দোলনকারীদের। কয়েকশ বিক্ষোভকারী নিহত হন বলে জানায় নানা মানবাধিকার সংগঠন। গ্রেপ্তার করা হয় হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধআবদুল হক সওদাগর