আমাদের দেশের প্রায় মানুষই গগন্তব্যস্থলে যাতায়াতের জন্য সড়ক ব্যবস্থাকে বেছে নিতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাই বেশিরভাগ মানুষ দৈনন্দিন সড়কেই যাতায়াত করতে থাকে। সাধারণ মানুষের জন্য সংরক্ষিত লোকাল গণপরিবহনগুলোতে নির্ধারিত সংখ্যক সিট থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিয়তই বাসে অতিরিক্ত হারে যাত্রী বোঝাই করা হয়ে থাকে। গাড়িগুলোর দরজা পর্যন্ত গাদাগাদি করে যাত্রী বোঝাই না করা পর্যন্ত গাড়ির ড্রাইভার এবং হেলপাররা কেন জানি তৃপ্তি পায় না। যার ফলপ্রসু প্রতিনিয়তই দেশের নানান স্থানে ঘটে চলেছে নানান দুর্ঘটনা। পঙ্গুত্ব বরণ করে নিচ্ছে বহু লোকজন। বর্তমান সমাজে ঘর থেকে বের হলেই প্রত্যেক মানুষকে সড়ক দুর্ঘটনা নামক আতঙ্ক তাড়া করে বেড়ায়। প্রতিদিন দেশের কোনো না কোনো অঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে। যার ক্ষয়ক্ষতি ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। একমাত্র জনসচেতনতা এবং প্রয়োজনীয় সরকারি–বেসরকারি পদক্ষেপই এই মহামারিকে রুখে দিতে পারে। আমরা জানি যে, প্রতিটি জীব বা প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে, সেই হিসেবে আমাদেরও মৃত্যু হবে। কিন্তু আমরা নিশ্চয়ই পথের বলি হয়ে কেউ মরতে চাই না। তাই সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি যতই জটিল সমস্যা হোক না কেন সবার সামগ্রিক চেষ্টা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া তেমন কোনো কঠিন কাজ নয়। সর্বোপরি, আমাদের প্রত্যেককে যার যার অবস্থান হতে ‘নিরাপদ সড়ক চাই‘- এ স্লোগানে এগিয়ে আসতে হবে।