মহামারীর কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবার পর থেকে অদ্য অবধি সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এই সংকটময় মুহূর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়। তা এই মুহূর্তে মৃত্যুঝুঁকি। ইতোমধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জে এসসি এবং এসএসসির ফলাফলের উপরে ভিত্তি করে ফলাফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে যাদের দাখিল /এসএসসির ফলাফল খারাপ হয়েছে, তাদের মনঃপূত হয়নি। আলিম /ইন্টারমেডিয়েটে উৎকৃষ্ট ফলাফল করার জন্য প্রত্যাশী ছিলো, তারা তাদের প্রত্যাশিত ফলাফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অটোপাসের কারণে। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজ লেভেলের শিক্ষার্থীদের কেবল কয়েকমাস ক্লাস করার সুযোগ হয়েছিলো। তাদের কোর্সগুলো শেষ হতে না হতেই করোনা নামক মহামারী বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাবার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে বাকি কোর্সগুলো অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। অনলাইন ক্লাস শিক্ষার্থীদের মনঃপূত হচ্ছে না। ঠিক এই সময়ে অটোপাস ঘোষণা করলে ছাত্র-ছাত্রীদের অজ্ঞতা থেকে যাবে, পরিপূর্ণ বিদ্যা অর্জিত হবে না। সত্যিকার অর্থে পরীক্ষার দ্বারাই যথার্থ মূল্যায়ন হয়। পরীক্ষা ছাড়া শিক্ষার্থীদের সঠিক মূল্যায়ন করার অন্য কোনো পন্থা নেই। অটোপাসের দ্বারা যথার্থ মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। যেহেতু মহামারির কারণে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়, সেহেতু অটোপাসের দ্বারা নয়, যখনই হোক, অবিলম্বে হোক, তবুও পরীক্ষার দ্বারাই হোক যথার্থ মূল্যায়ন।
– মো. আল-আমিন, বাংলা বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা