অজ্ঞাতনামা আসামি নিয়ে প্রতারক চক্রের ফাঁদ

রাউজানে গণপিটুনির মামলা

রাউজান প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ

রাউজানে গণপিটুনিতে উপজাতি সন্ত্রাসীর মৃত্যু ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় হওয়া মামলাকে পুঁজি করে ফাঁদ পেতেছে একটি চক্র। মামলায় গ্রামের অজ্ঞাতনামা কয়েকশ’ জনকে আসামি করার সুযোগ নিয়ে চক্রটি পুলিশ পরিচয়ে স্থানীয় সাবেক মেম্বার (৯নং ওয়ার্ড) নাছিরকে ফোনে করে মামলা থেকে রেহাই দেয়ার শর্তে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছে। রাউজান কদলপুর গ্রামের কলেজছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয়কে উপজাতি সন্ত্রাসীরা অপহরণের পর খুন করেছিল। সেই ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর গণপিটুনির শিকারে মারা যায় এক উপজাতি সন্ত্রাসী। সেই ঘটনায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর নাছির মেম্বারকে টার্গেট করে ফোনে জানানো হয় তিনি রাউজান থানার ওসি (তদন্ত) হারুন বলছেন। ৫০ হাজার টাকা দিলে মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেবেন। এদিন থেকে কয়েক দফায় ফোন দিয়ে তাকে টাকার জন্য চাপ দিয়ে বলা হয় বিকাশ ০১৮৭৬১৩১৫৮৯ নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দেন। ওই মামলা থেকে নাম বাদ দেয়া হবে। ওসি তদন্ত পরিচয়ে ফোন দেয়া হয়েছে এই ০১৭৯৪৭৩০৩৫০ নম্বর থেকে। ভুক্তভোগী মেম্বার নাছির বলেন, ফোনে দেয়া নাম পরিচয় শুনে আমার সন্দেহ হয়। আমি এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমদ চৌধুরী ও সাবেক মেম্বার আলী আকবরকে বিষয়টি জানাই। তারা আমাকে জানান ওসি তদন্তের নাম হারুন নয়। এটি প্রতারক চক্রের কাজ। তারা আমাকে লেনদেন করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। পরে প্রতারক চক্র আবারো ফোন দিলে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ পরিচয় দেয়া ব্যক্তি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে মামলায় জড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দেয়। এরপর আর ফোন দেয়নি। সাবেক মেম্বার আলী আকবর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

ঘটনা জানতে রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুনকে ফোনে পাওয়া যায়নি। সেকেন্ড অফিসার এসআই অজয় দেব শীল বলেন, ওসি অসুস্থ অবস্থায় আছেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, পুলিশের পরিচয়ে ব্যবহার করা ফোন নম্বরটির বাহক কে তা সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।