অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের সাজা নিশ্চিত করা হবে

কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী ।। মানুষের কল্যাণে প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৯:১১ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচনকে ঘিরে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে এবং যারা হুকুমদাতা, তাদের সাজা নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের কোনো ছাড় নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি, নেব। গতকাল রোববার কোটালীপাড়া উপজেলা চত্বরে কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি) আবার আন্দোলন করে গণতন্ত্রের জন্য, যারা গণতন্ত্রের ‘গ’ও বোঝে না। তাদের আন্দোলন মানুষ পুড়িয়ে মারা, গণতন্ত্রের ‘গ’ কেন, গণতন্ত্র বানানও করতে পারবে না। খবর বাংলানিউজের।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা জানে জ্বালাওপোড়াও। জীবন্ত মানুষগুলিকে আগুনে পুড়িয়ে মারা, বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন, লঞ্চে আগুন, রেলে আগুন২০১৩ সালে যা করেছে, ১৪ সালে করেছে, ১৫ সালে করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এখন আবার এই নির্বাচন (২০২৪) ঠেকাও আন্দোলন করতে যেয়ে ট্রেনে আগুন দিয়ে মা সন্তানকে বুকে নিয়ে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। এ দৃশ্য কোনো মানুষ সহ্য করতে পারে না। যে কারণে তারা যতই চিৎকার করুক, চেঁচামেচি করুক, তাদের কথায় কিন্তু জনগণ সাড়া দেয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করেছে, কোনো ছাড় নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি, নেব। যারা এই ধরনের কাজগুলো করেছে, তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা হুকুমদাতা এবং জ্বালাওপোড়াও করার জন্য হুকুম দিয়েছে, তাদের আমরা গ্রেপ্তার করছি। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব, আর যাতে ভবিষ্যতে কেউ এভাবে মানুষ পুড়িয়ে মারার মতো জঘন্য কাজ করতে না পারে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি যতবার নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ তাতে সাড়া দেয়নি। মানুষ কিন্তু তার ভোটটা চুরি করলে সে ঠিকই ধরে নেয়। দৃষ্টান্ত হচ্ছে, ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন।

ষড়যন্ত্রীদের চক্রান্ত এখনো চলছে জানিয়ে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা তো জানেন ষড়যন্ত্র চক্রান্ত কখনো শেষ হয় না। এই ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কোটালীপাড়াবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, শক্ত একটা ঘাঁটি আছে বলেই আমি যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে পারি। সেই শক্তি আপনারা দিয়েছেন। টুঙ্গিপাড়াকোটালীপাড়ার মানুষ আমার বড় শক্তি, বাংলাদেশের মানুষ আমার বড় শক্তি। আগামীতেও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।

উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধ, করোনাভাইরাসের কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আবার হামলা শুরু হয়েছে। এজন্য সামনে আরো দুর্দিন আসতে পারে। আমাদের দেশের মাটি উর্বর। আমাদের মানুষ আছে। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। সাথে সাথে হাসমুরগি, গরুছাগল পালন করতে হবে। আমাদের খাদ্য আমাদের উৎপাদন করতে হবে।

মানুষের কল্যাণে প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ : বিডিনিউজ জানায়, ফলপ্রসূ ও মানুষের উপকারে আসে এমন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল টুঙ্গিপাড়ার বাসভবনে জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, শুধু টাকা খরচের জন্য নয়, প্রকল্প ফলপ্রসূ ও মানুষের উপকারে আসে কিনা তা বিবেচনা করতে হবে। যে কোনো প্রকল্প যখন আপনারা গ্রহণ করবেন তখন মাথায় রাখবেন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ফলাফল কী আসবে। সেখান থেকে মানুষ কতটুকু লাভবান হবে বা দেশ কতটুকু লাভবান হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু মানুষ সরকারের উন্নয়নের সমালোচনা করেই যাচ্ছে। তবে সরকার তাদের কথায় কর্ণপাত না করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করায় চার সহোদরের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
পরবর্তী নিবন্ধবাড়ছে শীতজনিত রোগ হাসপাতালে চাপ