অগণিত মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি

| বুধবার , ২৯ জুন, ২০২২ at ১১:১১ পূর্বাহ্ণ

ফেরদৌসী রহমানের জন্ম ১৯৪১ সালের ২৮ জুন পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহারে। একাশি বছরে পা রাখলেন প্রিয় এই সংগীতমুখ। জন্ম থেকেই গানের সঙ্গে সখ্য তার। গানে হাতেখড়ি হয় বাবা প্রখ্যাত পল্লীগীতি সম্রাট আব্বাসউদ্দিনের কাছেই। পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, ইউসুফ খান কোরেইশী, কাদের জামেরী, গুল মোহাম্মদ খান প্রমুখ সংগীতজ্ঞের কাছে তালিম নিয়েছেন। খুব অল্প বয়স থেকে তার স্টেজ পারফরম্যান্স শুরু হয়।

মাত্র ৮ বছর বয়সে ১৯৪৮ সালে রেডিওতে ‘খেলাঘর’ নামের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তখন তিনি রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন। ১৯৫৬ সালে তিনি প্রথম বড়দের অনুষ্ঠানে গান করেন। বিয়ের পরই ফেরদৌসী বেগম থেকে তিনি হলেন ফেরদৌসী রহমান। ১৯৬৬ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন রেজাউর রহমানকে। তিনি একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। দুই ছেলে রুবাইয়াত ও রাজিন। তারা আজ প্রতিষ্ঠিত। সময় পেলে তিনি বিদেশে ছেলেদের কাছে বেড়াতে যান।

বাংলা ছাড়াও গেয়েছেন উর্দু, ফারসি, আরবিসহ বেশ কিছু ভাষার গান। ফেরদৌসী রহমান অবসরে আত্মজীবনী লিখছেন। বিটিভির ‘এসো গান শিখি’র অনুষ্ঠানটি আবার নিয়মিতভাবে রেকর্ড করছেন। জন্মদিন প্রসঙ্গ তুলতেই একটু আক্ষেপের কথা বললেন তিনি। আমার বাবা আব্বাসউদ্দীন আহমদকে কয়জন মনে রাখছে? আর আমার জন্মদিন মনে রেখেই কি হবে? যতদিন জীবিত আছি ততদিনই মানুষ মনে রাখে। চলে গেলে সেই মানুষকে আর মনে রাখে না।

রাষ্ট্র আমার বাবাকে সেই সম্মান দিতে পারেনি। আমিও চলে যাব, ফেরদৌসী রহমানকেও কেউ মনে রাখবে না। তবে অগণিত মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, এই ভালোবাসা নিয়েই চলে যেতে চাই। পারিবারিকভাবে ফেরদৌসী রহমানের জন্মদিন ঘটা করে পালন করা হয় না। তিনি জানালেন, আমার জন্মদিন বাবা একবারই খুব ঘটা করে পালন করেছিলেন ম্যাট্রিক পরীক্ষায় পাস করার পর। সে জন্মদিনে অনেক কবি সাহিত্যিক লেখকরা এসেছিলেন। এরপর আর উৎসব করে জন্মদিন পালন করিনি। তবু বাইরে অনুষ্ঠান থাকলে ভিন্ন কথা। এছাড়া অন্য দশ দিনের মতোই দিনটি আমার কেটে যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশাকিব খানের স্বপ্নপূরণ
পরবর্তী নিবন্ধনিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ পাকিস্তান