আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত কারণে সীতাকুণ্ডের ঘরে ঘরে এখন জ্বর-সর্দি-কাশির রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। প্রতিদিন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করছেন আক্রান্তরা। হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, সর্দি, কাশি ও শরীর ব্যথায় আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ।
তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা বেশিরভাগ রোগীই জ্বরে আক্রান্ত। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সে সংখ্যা। তবে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা করোনায় নয়, ঋতু পরিবর্তন জনিত মৌসুমি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি বলেন, এ রোগে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। রোগীদের ওষুধের পাশাপাশি মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. ইউনুচ বলেন, বহির্বিভাগে জ্বরের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে প্রতিদিনই ১০ থেকে ১৫ জন রোগীর করোনার স্যাম্পল সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে পিসিআর পরীক্ষায় সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা প্রায় ৪০ শতাংশেরও বেশি রোগীই জ্বর, সর্দি, কাশি, ব্যথা ও শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছেন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা শেষে আক্রান্ত অনেক রোগী বাড়ি ফিরছেন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে যারা বেশি সমস্যায় ভুগছেন তাদের হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক। গত এক সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের জরুরি ও বহির্বিভাগে প্রায় দেড় হাজার জ্বরের রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন বলে জানায় হাসপাতাল সূত্র।












