নিষিদ্ধ হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় জামায়াত–শিবিরের পক্ষ থেকে কোনো সহিংসতা হলে তা দমনের সক্ষমতা সরকারের রয়েছে বলে সাফ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জামায়াত–শিবির ও এর অঙ্গ সংগঠনকে ‘নিষিদ্ধ সত্তা’ হিসাবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এর কিছুক্ষণ আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছি। ওদের বিরুদ্ধে আমরা সেই একাত্তর থেকে যুদ্ধ করছি। সুতরাং এগুলো দমনে আমাদের সক্ষমতা অনেক আছে।
স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ হলো দ্বিতীয় দফায়। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরা দলটি স্বাধীনতার পর রাজনীতি করার সুযোগ পায়নি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দেওয়ায়।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে জামায়াত প্রথমে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ নামে মোর্চা করে এবং ১৯৭৯ সালের ২৭ মে নিজ নামে আত্মপ্রকাশ করে।
তখন থেকেই জামায়াতকে নিষিদ্ধের দাবি উঠতে থাকে। মানবতাবিরোধী অপরাধের একাধিক রায়ে জামায়াতকে ‘ক্রিমিনাল সংগঠন’ আখ্যা দেওয়ার পর দল হিসেবেও তার বিচারের দাবি উঠে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধন না করায় সেই পথে হাঁটা যায়নি।
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনে গত ২৮ থেকে ২১ জুলাই নজিরবিহীন সহিংসতা এবং সরকারি হিসাবে দেড়শ মানুষের প্রাণহানি, অজস্র রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে হামলার জন্য এর পেছনে জামায়াত–শিবিরকে দায়ী করে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে জামায়াত নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
আগস্টের প্রথম দিন ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ চালানোর অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে তার ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরও।