সমুদ্রবিজ্ঞান আর রোগ শনাক্তকরণে রয়েছে গবেষণার সম্ভাবনা

ড. আদনান মান্নান

| শুক্রবার , ৫ মে, ২০২৩ at ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ

চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান জানান, ডিএনএ এবং তার মাঝে থাকা জিনএর আবিষ্কার সভ্যতাকে এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। জিনকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এখন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে শরীরের অনেক অস্বাভাবিকতা। আমাদের সমুদ্রের মাঝে আছে বিশাল সম্ভাবনা। সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও প্রাণীর জেনেটিক তথ্য উদঘাটন সম্ভব হলে ব্লু ইকোনমিতে তা অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। সাগরের শৈবালের মাঝে কিছু কিছু প্রতিষেধকের সম্ভাব্যতা দেখা গেছে। সাগরের বিভিন্ন উদ্ভিদ ও নির্যাস ব্যবহার হয় কসমেটিক্স ইন্ডাস্ট্রিতে। প্রতিবছর কয়েকশত কোটি টাকা ক্ষতি হয় মাছের সংক্রমণের কারণে। সংক্রমণের জন্য দায়ী অণুজীবগুলোকে চিহ্নিত করে তার জেনেটিক বিন্যাস জানা গেলে সম্ভব হবে টিকা ও প্রতিষেধক আবিষ্কার। শিল্প কারখানেগুলোতে এনজাইম উৎপাদনের মাধ্যমে রয়েছে কোটি টাকার উপার্জনের সুযোগ। দূষিত বর্জ্যকে নিষ্কাশন সম্ভব জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়াকে ব্যাবহারের মাধ্যমে। আমাদের দেশে এখনই সময় এই প্রযুক্তিকে ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনার সুযোগকে কাজে লাগানোর। এজন্য প্রয়োজন গবেষণায় অর্থ বিনিয়োগ, কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করা, বায়োটেকনোলজিস্টদের যথাযথ মূল্যায়ন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নতমানের গবেষণাগার স্থাপন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাজদণ্ডের সেই ‘বড় হীরা’ ফেরত চায় দক্ষিণ আফ্রিকা
পরবর্তী নিবন্ধজটিল মানব রোগের সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা আর প্রতিষেধক আবিষ্কারের স্বপ্ন দেখাচ্ছে