রাঙামাটিতে বন্যার পানিতে ডুবে একদিনে চারজনের মৃত্যু

| শুক্রবার , ১১ আগস্ট, ২০২৩ at ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ

টানা বৃষ্টি ও বন্যার পর রাঙামাটিতে আলাদা ঘটনায় পানিতে ডুবে একদিনেই চারজনের মৃত্যু হয়েছে; এ নিয়ে এক সপ্তাহে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয়জনে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাঘাইছড়ি পৌর এলাকা, করেঙ্গাতলী ও খেদারমারা ইউনিয়নে এবং সাজেকের মাচালংয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। বাঘাইছড়ি থানার ওসি ইশতিয়াক আহম্মেদ জানান, মঙ্গলবার বানের পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছিল পৌর এলাকার মাদ্রাসাপাড়ার মো. মহসিনের সন্তান জুয়েল ()। বৃহস্পতিবার কাদের মেম্বার পাড়া এলাকায় কাচালং নদীতে তার লাশ ভেসে উঠে। এছাড়া একই দিন বিকালে বাঘাইছড়ির উপজেলার করেঙ্গাতলী ইউনিয়নে কাচালং নদীতে গোসল করতে নেমে বন্যার পানিতে ডুবে রাহুল বড়ুয়া (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে করেঙ্গাতলী বাজারের অরুন বড়ুয়ার ছেলে। সন্ধ্যায় খেদারমারা ইউনিয়নের হীরারচর এলাকায় একই নদীর পানিতে ডুবে জুনি চাকমা () নামে আরো এক শিশুর মৃত্যু হয়। একই দিন সাজেকের মাচালং এলাকায় কাওলা ত্রিপুরা (৪০) নামের ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি পানিতে ডুবে মারা গেছেন।

খবর বিডিনিউজের।

বাঘাইছড়ির ইউএনও রুমানা আক্তার বলেন, “বন্যার পানিতে একসঙ্গে এত মৃত্যু খুবই বেদনার। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রতিটি পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।” এর আগে গত শনিবার নানিয়ারচরে ছড়া পার হতে গিয়ে স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হন এক্ক্যোইয়া চাকমা (৮০)। পরদিন চেঙ্গী নদীতে তার লাশ ভেসে উঠে। সোমবার বরকল উপজেলায় নৌকা ডুবে সুমেন চাকমা (১৯) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে দীঘিনালাসাজেক সড়কের তিনটি স্থানে পানি ওঠার কারণে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে সাজেকে আটকা পড়া পর্যটকদের মুক্তি মিলেছে। সকাল থেকে যান চলাচল শুরু হওয়ায় বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, লংগদু, কাপ্তাইসহ যেসব স্থানে পানি উঠেছিল সেখানে পানি কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বাঘাইছড়ির ইউএনও রুমানা আক্তার বলেন, “পানি কমে এলেও আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা লোকজনের বাড়ি ফিরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। তবে আর বৃষ্টি না হলে দ্রুত পানি নেমে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।” রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাঙামাটি জেলায় ২৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। এতে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছিলেন। আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। বৃষ্টি কমায় পানি নামতে শুরু করেছে, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে। এই বন্যায় আউশ, আমন, আদা ও হলুদসহ প্রায় ৩ হাজার ৩৮ হেক্টর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজলাবদ্ধতা নিয়ে চসিক ও সিডিএর পরস্পর বিরোধী বক্তব্য চট্টগ্রামবাসীকে হতাশ করেছে
পরবর্তী নিবন্ধনির্ধারিত সময়ে সাক্ষীর জেরা হয়নি