ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর আঘাতে দেশের প্রথম ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালীতে গত ৫ দিনেও বিদ্যুতের দেখা পাননি এলাকাবাসী। কখন দেখা মিলবে তা জানেন না গ্রাহকরা। তবে দ্রুত বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানান মহেশখালী পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুতের খুঁটি, গাছপালা এবং শতশত ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত ৫ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে মহেশখালী। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ না থাকায় যোগাযোগেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের পর দুইদিন ছিল নেটওয়ার্ক সমস্যা। বিদ্যুৎ না থাকায় মহেশখালীতে তৈরি হয়েছে মোমবাতির সংকটও। বেড়েছে কেরোসিনের দামও। অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ও গাড়িভাড়া বৃদ্ধি করছে একটি অসাধু চক্র। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতেও দেখা যায়নি প্রশাসনকে।
স্থানীয়রা আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ২০ হাজারের অধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানের বরজ ও কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দ্বীপে ক্ষতির পরিমাণ কয়েকশ কোটি টাকার উপরে হবে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। মহেশখালী পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসার জানান, ৩৩ কেভি লাইনের খুঁটি ভেঙেছে ২৩ টি, এইচটি খুঁটি ভেঙেছে ৪৫ টি, এলটি খুঁটি ভেঙেছে ৩৫টি, ক্রস আর্ম ভেঙেছে ৬৭টি, ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে ৫৭টি, তার ছিঁড়ে গেছে ৩৪৫টি, গাছ পড়েছে ১০০২টি স্পটে, মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৬০০টি। ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সম্পূর্ণ লাইন চালু হতে ১–২ মাস সময় লাগতে পারে। গতকাল রবিবার ৩৩ কেভি লাইন চালু করা হয়েছে। বিদ্যুৎ কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে মহেশখালী পৌরসভার কিছু অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে সক্ষম হয়েছে। উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে দ্রুত বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টায় একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানান এবং গ্রাহকদের অপেক্ষা করতে বলেন তিনি।