মহেশখালী–কক্সবাজার নৌ–রুটের মহেশখালী জেটিঘাট এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জেটির বিভিন্ন স্থানে আস্তরসহ কংক্রিট ভেঙে ধসে পড়ছে। কাঠামো দুর্বল হয়ে যাওয়ায় যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জানা যায়, ১৯৮৬ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত হয় এই জেটি। ২০০৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আদিনাথ মন্দির সংলগ্ন আরও একটি জেটি নির্মাণ করলেও প্রধানত মহেশখালী জেটি দিয়েই দ্বীপের লোকজন ও পর্যটকদের যাতায়াত বিদ্যমান। ২০২০ সালে মহেশখালী পৌরসভার তত্ত্বাবধানে জেটিটি সামান্য সংস্কারের পর থেকে দীর্ঘ পাঁচ বছরেও কোনো ধরনের মেরামত হয়নি। ফলে বর্তমানে দুইপাশের রেলিং ভেঙে পড়েছে। মাঝখানে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যাত্রী ওঠানামার স্থানে নিচ থেকে আস্তরসহ ঢালাই ভেঙে ধসে পড়ছে। ফলে যেকোনো মুহূর্তে জেটিটি ধসে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সায়েদ মঞ্জু বলেন, প্রতিদিন শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই জেটিঘাট ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে বর্ষার সময় পানিতে তলিয়ে যাওয়া এবং গর্তে পা আটকে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করার জন্য জোরালো দাবি জানিয়েছেন মহেশখালীবাসী।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এটা আমরা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলাম, কিন্তু ঘাটটি বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএর অধীনে চলে যাওয়ায় সেটা স্থগিত আছে। তবে বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএকে পত্রের মাধ্যমে অবগত করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু করার জন্য তাগিদ দেওয়া হবে। অপরদিকে নতুন যেটি নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সেটি নির্মিত হলে পুরাতন জেটির উপর চাপ কমবে।












