সাবেক মেয়র এম মনজুর আলমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ভারতীর সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন। উত্তর কাট্টলীস্থ মনজুর আলমের বাসভবনে গত ২৭ মে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার। এ সময় তাঁর সাথে স্ত্রী সুস্মিতা রঞ্জনও উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মনজুর আলম সহকারী হাই কমিশনার ও তাঁর পরিবারের সম্মানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন করেন। সাক্ষাতকালে মনজুর আলম বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। দেশটির সাথে বাংলাদেশের ভালো একটা সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারত বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছে। আমি চাই উভয় দেশের সম্পর্ক যাতে আরো বন্ধুপরায়ণ এবং আরো উন্নত হয়। প্রতিবছর বাংলাদেশ তথা চট্টগ্রাম থেকে একটা বড় সংখ্যক জনগোষ্ঠী ভারতে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য গমন করে থাকে। চট্টগ্রাম থেকে বেশি সংখ্যক ভিসা আবেদনকারী হওয়াতে অনেক সময় ভিসা প্রাপ্তিতে বিলম্ব হয়। একই সাথে চট্টগ্রাম–কলকাতা ও ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ফ্লাইট বৃদ্ধি করা, সহজে ভিসা প্রাপ্তি, ব্যবসা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে ৫ বছরের মাল্টিপল ভিসা আরো সহজ করা, সাথে সাথে ভারত–বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা, উভয় দেশের ব্যবসায়িক ব্যবস্থা যাতে আরো উন্নত ও সহজীকরণ করা হয় সেদিকেও জোর দেন মনজুর আলম। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন পোশাক তৈরী, চামড়া শিল্প, প্রযুক্তিসহ যুগোপযোগী নানাদিক দিয়ে বেশ এগিয়ে চলেছে। অতএব ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশী পণ্য ভারতে সহজে বাজারজাতকরণের বিষয়টিতেও গুরুত্বারোপ করেন মনজুর আলম। এ–সময় সহকারী হাই কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের একটি বন্ধুপ্রতীম দেশ। ভারত প্রতিবেশী দেশের সাথে সব সময় সু সম্পর্ক বজায় রাখে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই গভীর এবং দীর্ঘদিনের। আর বাংলাদেশ এখন আর কোন দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই। শিক্ষা, ব্যবসা–বাণিজ্য এবং অবকাঠামো উন্নয়নসহ সামগ্রিকভাবে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভারতের ভিসা ও মাল্টিপল ভিসা প্রাপ্তিতে বাংলাদেশীদের জন্য এখন আমরা সহজীকরণ করছি। আর এখন থেকে চট্টগ্রামবাসীদের জন্য চট্টগ্রাম থেকেই আরো অধিকহারে মাল্টিপল ভিসা প্রসেস করা হবে। এতে উপস্থিত ছিলেন তাহের গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ তাহের, মোস্তফা–হাকিম গ্রুপের পরিচালক নিজামুল আলম রাজু, মোহাম্মদ সারওয়ার আলম, মোহাম্মদ ফারুক আজম, মোহাম্মদ সাইফুল আলম, মোহাম্মদ সাহিদুল আলম, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলমগীর, উপাধ্যক্ষ মাহফুজুল হক চৌধুরী ও চট্টগ্রাম ভারতীয় দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।