ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ায় দুই সপ্তাহের জন্য প্রতিবেশী দেশটি থেকে স্থলপথে যাত্রী আসা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আজ সোমবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন গতকাল রোববার বলেন, ভারতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় আমাদের নাগরিকদের রক্ষায় সেখান থেকে আপাতত লোক আসা বন্ধ করছি আমরা। এটা দুই সপ্তাহের জন্য। মহামারী নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউনের কারণে ভারতের সঙ্গে আকাশ পথে চলাচল আগে থেকেই বন্ধ আছে। এখন স্থলপথেও যাত্রী আসা বন্ধ হলো। তবে স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন চলবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
এদিকে এই সময়ের মধ্যে ভারতে অবস্থান করা বাংলাদেশি নাগরিক যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে, তারা বিশেষ অনুমতি নিয়ে তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারবেন। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ৯ মে পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ থাকাকালে যেসব বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে তারা বেনাপোল, আগরতলা ও বুড়িমারি স্থলবন্দর দিয়ে বিশেষ অনুমতি নিয়ে ও ৭২ ঘণ্টা আগের নেগেটিভ করোনা টেস্ট সাপেক্ষে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য তাদের কলকাতা, আগরতলা ও দিল্লি মিশন থেকে অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির জন্য রেলপথ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ ভারতকে বেসামাল অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
গত চার দিন ধরে প্রতিদিনই সেখানে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় বিশ্ব রেকর্ড হচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত একদিনে তিন লাখ ৪৯ হাজার ৬৯১ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে গতকাল। মৃত্যু হয়েছে রেকর্ড দুই হাজার ৭৬৭ জনের। ভারতে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর মোট সংখ্যা এক কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে এক লাখ ৯২ হাজার ৩১১ জনে।
অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, দিল্লির অনেক হাসপাতাল নতুন রোগী নিচ্ছে না। অঙিজেনের অভাবে অনেক হাসপাতালে রোগী মারা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরনগুলোই ভারতকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সে কারণে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করার দাবি কয়েকদিন ধরেই দেশে আলোচনায় ছিল।












