প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি বিভাগের নবীন বরণ গতকাল সোমবার, দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চসিক মেয়র ও ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ডা. শাহাদাত হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির, কেডিএস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সেলিম রহমান, হালদা গ্রুপের চেয়ারম্যান সারওয়ার আলমগীর, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইফতেখার মনির, আমেরিকান কর্নার–চট্টগ্রামের কন্টাক্ট পার্সন সাদাত জামান খান, চসিক প্যানেল লয়ার মো. রেজাউল করিম রণি, বিজিএমইএর সাবেক ডিরেক্টর খন্দকার বেলায়েত হোসেন ও ডিজাইনার মনিদিপা দাশ। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার দাশ।
প্রধান অতিথি বলেন, ৩০ বছর আগে আমি ভারতের বেঙ্গালুরে অধ্যয়ন করতে গিয়েছিলাম। তখন আমার ইনস্টিটিউশন ও বেঙ্গালুরের বিভিন্ন স্থানে ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি বিভাগে প্রচুর ছাত্র–ছাত্রীকে পড়তে দেখেছি। ফলে তখনই আমি এই বিভাগের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি এবং এর আন্তর্জাতিক তাৎপর্য সম্পর্কেও অবগত হয়েছি। আজ তোমরা এই ইউনিভার্সিটিতে এই বিভাগে পড়ার সুযোগ পেয়েছ। এটা অত্যন্ত গর্বের ও সৌভাগ্যের। তোমাদেরকে এমন এমন ডিজাইন করতে হবে, যে–ডিজাইনগুলো দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাক লাগিয়ে দেবে। তাহলে তোমরা যেমন অভাবনীয় সাফল্য লাভ করবে, তেমনি এই বিভাগও আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধি অর্জন করবে। উপাচার্য বলেন, ফ্যাশন ডিজাইন হচ্ছে একটি আধুনিক শিল্পমাধ্যম। এই মাধ্যমে অনেক সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। এটা এমন একটা মাধ্যম, যা কোলাবরেশন ছাড়া এগুতে পারে না। সেজন্য দেশের গার্মেন্টস শিল্পগোষ্ঠীগুলোর সহযোগিতা অপরিহার্য। তিনি উল্লেখ করেন, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি বিভাগ নতুন হলেও, এটা এমন একটা বিভাগ, যেটা গার্মেন্টস শিল্পজগতে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। তিনি আরও বলেন, এই বিভাগ এখনও শিশু বটে, কিন্তু একদিন অনেক বড় হবে। ফ্যাশন ডিজাইন ও মার্কেটের জগতে নেতৃত্ব দেবে। তিনি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে এই বিভাগ, এই ইউনিভার্সিটি এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। শিক্ষার্থী নুসরাত কবির ও ভবতোষ রুদ্রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিভাগের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার দাশ।উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সহকারী শিক্ষক–শিক্ষিকা, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ। শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












