বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা আজ। মহামতি গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে অশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা পালন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বর্ষাবাস শেষে দিনটি পালন করে আসছেন। আত্মশুদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের আয়োজন হলো প্রবারণা। ‘প্রবারণা’ শব্দের পালি আভিধানিক অর্থ নিমন্ত্রণ, আহ্বান, মিনতি, অনুরোধ, নিষেধ, ত্যাগ, শেষ, সমাপ্তি, ভিক্ষুদের বর্ষাবাস পরিসমাপ্তি, বর্ষাবাস ত্যাগ, বর্ষাবাস ত্যাগের কার্য অথবা শিষ্টাচার, বিধি, তৃপ্তি বা সন্তুষ্টির বিষয়, ক্ষতিপূরণ, প্রায়শ্চিত্ত, ঋণ পরিশোধ প্রভৃতি। বর্ষাবাস সমাপনান্তে ভিক্ষুগণ তাঁদের দোষত্রুটি অপর ভিক্ষুগণের নিকট প্রকাশ করে তার প্রায়শ্চিত্ত বিধানের আহ্বান জানান। এমনকি অজ্ঞাতসারে কোনো অপরাধ হয়ে থাকলে তার জন্যও ক্ষমা প্রার্থনা করা এটিই হলো প্রবারণার মূলকথা।
প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ লেখা, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। নগরীর চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার, কাতালগঞ্জ নব পণ্ডিত বিহার, চট্টগ্রাম সর্বজনীন বৌদ্ধ বিহারসহ দেশের বিহারে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে–ভোরে পবিত্র ত্রিপিটকের মঙ্গলবাণী পাঠ, সমবেত বুদ্ধ বন্দনা, জাতীয়, ধর্মীয় ও স্ব স্ব সংগঠনের পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ, ভিক্ষু সংঘের পিণ্ডদান, বৈজয়ন্তিক ধ্বজা উত্তোলন, অন্নমেরু ও পুস্পমেরুদান, প্রবারণা পূর্ণিমার তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান, আলোকসজ্জা, বুদ্ধ কীর্তন, সন্ধ্যাকালীন প্রদীপ পূজা, দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং জীব জগতের মঙ্গল কামনায় সমবেত প্রার্থনা সর্বশেষ ফানুস উত্তোলন।