পটিয়ায় উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ডি.এম জমির উদ্দিনসহ ৩ জনকে ব্রাশ ফায়ারের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ ৮ জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। একই মামলায় জামিন পেয়েছেন ৪ জন। গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম দায়রা জজ আদালত বিশেষ ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
শুনানী শেষে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে- জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নজরুল ইসলাম সোহেল, আবদুর রাজ্জাক রানা, এনাম হোসেন, মো. পাভেল, মো. করিম, মো. আসিফ, মো. আলমগীর, মো. হায়দার। জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন- জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন সবুজ, জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি অসীত বড়ুয়া, ওয়ার্ড আ. লীগের সভাপতি আবদুল হামিদ ও হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন আ. লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন মিঠু। এর আগে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন টন বাবু। মামলার অন্যতম আসামি মোজাম্মেল হক লিটন সময়ের আবেদন করেন।
জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল উপজেলার গৈড়লার টেক এলাকায় জাহিদ হাসান নামের এক গাড়ি চালকের সঙ্গে জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও যুবলীগ নেতা এয়ার মুহাম্মদ বাবরের মধ্যে মারামারি হয়। এতে গাড়ি চালক আহত হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা রেকর্ড হয়। এতে বাবর ও তার অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হয়। গত ১৯ এপ্রিল রাতে ডি.এম জমিরের নেতৃত্ব ইফতার মাহফিলের চিঠি নিয়ে দাওয়াত দিয়ে আসার সময় আমজুর হাট এলাকায় গেলে প্রতিপক্ষরা গাড়ি আটকে ব্রাশফায়ার করে।
এতে উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ডিএম জমির উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাইফু, যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে টন প্রকাশ ইয়াবা বাবুকে আসামি করে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিলেও গতকাল নির্ধারিত তারিখে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতে হাজির হলে আসামিদের মধ্যে ৭ জনকে কারাগারে প্রেরণ করে ৪ জনকে জামিন দেন বিচারক। চট্টগ্রাম জজ কোর্টের এডভোকেট আশীষ কুমার শীল জানিয়েছেন, আসামিদের পক্ষে তিনি মামলা পরিচালনা করেছেন।









