বাঁশখালী উপজেলায় সিজারসহ অবৈধভাবে বিভিন্ন অপরাশেন পরিচালনার অপরাধে দুই পল্লী চিকিৎসককে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সরল ইউনিয়নের মিনজিরিতলা ও হারুন বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান।
জানা যায়, সরল ইউনিয়নের মিনজিরিতলার কুলসুমা খাতুন নামে এক নারীর টিউমারের অপারেশনের ফলে তার অঙ্গহানির ঘটনা ঘটে। তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই এলাকার পল্লী চিকিৎসক জমির উদ্দিনের চেম্বারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তার ব্যাগে অপরাশেনের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও ওষুধ পাওয়া যায়। জমির উদ্দিন দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে খৎনা, সিজার, বিভিন্ন অপরাশেন পরিচালনা করে আসছেন বলে স্বীকার করেছেন। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে হারুন বাজারে পল্লী চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন সুমনকে দীর্ঘ ২২ বছর অবৈধভাবে অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনার দায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মো. দিদারুল হক সাকিব উপস্থিত ছিলেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, ভুয়া ও ভুল চিকিৎসায় অঙ্গহানির অভিযোগ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে প্রমাণিত হওয়ায় ২ পল্লী চিকিৎসককে জেল ও জরিমানা করা হয়। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।











