পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের দুটি গ্রামে হামলার ঘটনায় ১০০ লোক নিহত হয়েছেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ব্রিগি রাফিনি জানিয়েছেন। শনিবার মালি সীমান্তের নিকটবর্তী চৌমবানগৌ ও জারৌমদারাই গ্রামে হামলার ওই ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার আক্রান্ত গ্রাম দুটি পরিদর্শন করে ফেরার পর রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে মৃত্যুর এ সংখ্যার কথা জানান রাফিনি; তবে হামলার জন্য কারা দায়ী সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। শনিবার নাইজারের পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরাপত্তা কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, সন্দেহভাজন জঙ্গিরা চৌমবানগৌ ও জারৌমদারাই গ্রামে একযোগে হামলা চালিয়ে অন্তত ৭০ জনকে হত্যা করেছে। কিন্তু শুধু চৌমবানগৌ গ্রামেই ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানান রাফিনি, অপর ৩০ জন জারৌমদারাইতে নিহত হয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
বিবিসি জানিয়েছে, নাইজারে সমপ্রদায়গত হানাহানি ও জঙ্গি তৎপরতার শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিনগুলোর একটি ছিল এটি। শেষ খবর পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। স্থানীয় মেয়র আলমৌ হাসানের বক্তব্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা ‘প্রায় ১০০টি মোটরসাইকেল’ যোগে এসে দুটি দলে ভাগ হয়ে একযোগে হামলা চালায়। নাইজারের সাবেক মন্ত্রী ইসৌফৌ ইসাকা আন্তর্জাতিক একটি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, গ্রামবাসীরা তাদের দলের দুই জনকে হত্যার পর জঙ্গিরা গ্রাম দুটিতে হামলা চালায়। তবে হামলায় ‘জঙ্গিদের’ জড়িত থাকার কথা সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। মেয়র হাসানে জানান, হামলায় ৭৫ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য ওউয়াল্লাম ও রাজধানী নিয়ামেতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। টিচোমবানগৌ ও জারৌমদারাই গ্রাম দুটি নাইজারের টিলাবেরি অঞ্চলে অবস্থিত। সামপ্রতিক বছরগুলোতে একের পর এক জঙ্গি হামলা জর্জরিত এ অঞ্চলটি মালি ও বুরকিনা ফাসোর সীমান্ত সংলগ্ন। এসব জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সম্পর্ক আছে। সামপ্রতিক বছরগুলোতে বেশিরভাগ হামলায় জঙ্গিরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করায় বছরখানেক ধরে টিলাবেরি অঞ্চলে বাহনটি নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে।












