করোনাভাইরাসের মহামারী থেকে মুক্তির প্রত্যাশা নিয়ে সারা দেশে শুরু হয়েছে গণ টিকাদান। প্রথম দিন এ টিকা পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৬০ জন নাগরিক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেলে ইনফরমেশন সার্ভিসেস বিভাগ (এমআইএস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে ২১ জনের ‘সামান্য উপসর্গ’ দেখা যাওয়া ছাড়া বড় কোনো সমস্যা হয়নি। যেমন জ্বর, টিকা দেওয়া স্থানে লাল হওয়া ইত্যাদি দেখা গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল রোববার সকাল ১০টা মহাখালীতে স্বাস্থ্য ভবন থেকে ভার্চুয়ালি টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এর পরপরই সারা দেশে সহস্রাধিক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া শুরু হয়। প্রথম দিন বিকাল ৪টা পর্যন্ত টিকা হলেও সোমবার থেকে সাপ্তাহিক ছুটি বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এসব কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। খবর বিডিনিউজের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রথম দিন যারা টিকা পেয়েছেন তাদের মধ্যে ২৩ হাজার ৮৫৭ জন পুরুষ এবং ৭ হাজার ৩০৩ জন নারী। গতকাল ঢাকা মহানগরে টিকা নিয়েছেন ৫ হাজার ৭১ জন। ঢাকার ৪৭টি কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৬০ জন টিকা নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ৯ হাজার ৩১৪ জন টিকা নিয়েছেন ঢাকা বিভাগে। এছাড়া ময়মনসিংহে ১ হাজার ৬৯৩ জন, চট্টগ্রামে ৬ হাজার ৪৪৩ জন, রাজশাহীতে ৩ হাজার ৭৫৭ জন, রংপুরে ২ হাজার ৯১২ জন, খুলনায় ৩ হাজার ২৩৩ জন, বরিশালে ১ হাজার ৪১২ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ হাজার ৩৯৬ জন টিকা নিয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে ঢাকাসহ সারা দেশে ১০১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। ঢাকায় ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৯৬টি স্বাস্থ্যকর্মীদের দল এসব কেন্দ্রে সরাসরি টিকাদানে নিয়োজিত রয়েছেন।
ধারাবাহিকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে মোট ৭ হাজার ৩৪৪টি দল প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি দল দৈনিক ১৫০ জনকে টিকা দিতে পারবে। সে হিসেবে দৈনিক তিন লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের।
টিকা নিতে আগ্রহী সবাইকে আগে নিবন্ধন করতে হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত টিকার জন্য চার লাখের বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।












