সাগরে জাহাজ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাসে দেশের প্রথম সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বা এসপিএম পরিচালনার দায়িত্ব চীনের একটি কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের কাছে বঙ্গোপসাগরে স্থাপিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নও করেছে চীনা কোম্পানি। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে চীনের পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি বা সিপিপিইসিকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তটি অনুমোদন করা হয়। সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বাস্তবায়নে জিটুজি চুক্তির আলোকে চীনা কোম্পানিকে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হবে। বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর তথ্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবেদকদের দেওয়া হয়। এদিন ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে সার আমদানিসহ বেশ কয়েকটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন দেশের ৪৮টি জেলায় ‘শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি’ প্রকল্পের আওতায় ২৮ হাজার ৮০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিতে কল্যাণপুরের ই–লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডকে নিয়োগ করা হয়েছে। এখানে সেবামূল্য বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ২৯৭ কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৬০০ টাকা। এ হিসাবে এ প্রকল্পে জনপ্রতি প্রশিক্ষণে ব্যয়ের বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক লাখ ৩ হাজার ১৮১ টাকা।
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে দুই কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক ভিটল এশিয়া ২০ থেকে ২১ ডিসেম্বর ও ২৮ থেকে ২৯ ডিসেম্বর এই এলএনজি সরবরাহ করবে। একটি কার্গোতে প্রতি ইউনিট ১৪ দশমিক ৫৫ ডলার এবং অপর কার্গোতে প্রতি ইউনিট ১৪ দশমিক ৪২ ডলার দাম পড়েছে। এতে দুই কার্গোর এলএনজি কিনতে মোট খরচ হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৬৬ কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার ৬৮০ টাকা।












