করোনাভাইরাসে দেশে একদিনে আরও ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বো”চ। সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস’্য অধিদপ্তর; সেদিন ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর মাঝে ২১ সেপ্টেম্বরও ৪০ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস’্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ১ হাজার ৮৭৭ জনের শরীরে নতুন করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২০৯ জন হয়েছে। আর গত একদিনে মারা যাওয়া ৪০ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ১২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। স্বাস’্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৮৮৪ জন রোগী সুস’ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস’ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৭২৯ জন হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশে করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। তা সাড়ে ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস’্য অধিদপ্তর। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৬তম স’ানে আছে বাংলাদেশ আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস’ানে। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ কোটি ২৯ লাখ পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৬ লাখ ২২ হাজার।
স্বাস’্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১২টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৮টি জিন-এঙপার্ট ল্যাব ও ১০টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৪০টি ল্যাবে ১৯ হাজার ৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩০ লাখ ৫ হাজার ৫১২টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস’তার হার ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ আর নারী ১৪ জন। তাদের মধ্যে ৩৯ হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।











