কাপ্তাই–রাঙামাটি আসামবস্তী সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। পাহাড় ধসের কারণে সড়কের জায়গায় জায়গায় ধস দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ভাঙনের ফলে সড়কের অনেক স্থান সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। সড়ক সঙ্কুচিত হবার কারণে ঐসব স্থান দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা।
সড়কের বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকি বেড়েয় যাওয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক ‘বিপদজনক সড়ক’ লিখে বিভিন্ন স্থানে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কোন কোন স্থানে ‘সাবধান সামনে ভূমিধসপূর্ণ এলাকা’ লিখে লাল সাইনবোর্ড টাঙিয়ে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, কাপ্তাই থেকে দ্রুত রাঙামাটি যাতায়াতের জন্য এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এই সড়ক পথে যাতায়াত শুরু হবার পর থেকে সড়কে যানবাহন চালাচলও বাড়তে থাকে। বর্তমানে সড়কের দুইপাশে পাহাড় ধসের ফলে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কারণে সবসময় বড় যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, অটোরিক্সার মত ছোট যানবাহ চলাচল করতে পারলেও এই সড়কে কোন ধরণের বড় গাড়ি বিশেষ করে বাস ট্রাক চলাচল করছেনা। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, সড়কের কয়েকটি প্রায় ১৭টি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে জায়গায় জায়গায় লাল পতাকা তুলে দেবার পাশাপাশি ভাঙন প্রতিরোধে কাজও চলতে দেখা গেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হবার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি পাহাড় ধস ও ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, বর্ষা মউসুমে পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস এবং সড়কের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়া প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে পাহাড় ধস ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় কার্যকর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আরসিসি ঢালাই দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন সড়কের পাশে স্থানীয় অনেক বাসিন্দা দোকান গড়ে তুলছেন আবার কেউ কেউ পাহাড় কেটে বসত ঘর নির্মাণ করছেন। এর কারণে অনেক এলাকার গাছও কাটা পড়ছে। তিনি সর্বস্তরের জনগণকে সড়কের পাশে পাহাড় কেটে দোকান নির্মাণ ও বসতঘর নির্মাণ না করার জন্য অনুরোধ জানান।












