চকরিয়ায় অবৈধ ৯০ স্থাপনা উচ্ছেদ, ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক

চকরিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

চকরিয়ায় অবৈধভাবে দখলে নিয়ে স্থায়ীভাবে তৈরি করা ছোটবড় অন্তত ৯০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া বরইতলী ইউনিয়নের গুরুর বাজার প্রকাশ একতা বাজার ও বরইতলী রাস্তার মাথা এলাকা থেকে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল লতিফ খান।

সওজ জানিয়েছে, প্রথম দিনের সাঁড়াশি উচ্ছেদ অভিযানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিয়ন্ত্রিত প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ভূসম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে।

সড়ক বিভাগের চকরিয়া কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (এস.) মো. কুতুব উদ্দীন তালুকদার বলেন, বিগত সময়ে সংঘবদ্ধ দখলবাজ চক্র রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চট্টগ্রামকঙবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত বিপুল জায়গা দখলে নিয়ে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে। সেই দখলবাজদের ডাটাবেইজ তৈরি ও তাদের নামে বিজ্ঞপ্তি জারি এবং আদালতে মামলা রুজুসহ পরিকল্পিতভাবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এই সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়েছে। অবশ্য এসব জবরদখল চেষ্টার ঘটনায় জড়িত এলাকাভিত্তিক অভিযুক্ত দখলবাজ চক্রের বিরুদ্ধে সড়ক বিভাগ নোটিশ জারি থেকে শুরু করে আদালতে মামলা রুজু করেন।

কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী বলেন, সড়ক বিভাগের জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু প্রথম দিনের অভিযানে সময় স্বল্পতার কারণে সব স্থানে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। তবে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ওইসব স্থানেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের চকরিয়া কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) মোহাম্মদ রাহাত আলম। উচ্ছেদ কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন জেলা পুলিশ লাইনের রির্জাভ ফোর্স, চকরিয়া থানা পুলিশের একটি দল ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ সময় একাধিক বুলডোজার চালিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধঢাবি থেকে আলাদা হচ্ছে ৭ কলেজ, ভর্তি বন্ধ এ বছরই