নামের মিল নেই। কোনো অপরাধও করেননি। এরপরও ২ বছর ৯ মাস ১০ দিন ধরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন মিনু। কোতোয়ালী থানার একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীর হয়ে হাজতবাস করছিলেন তিনি। অবশ্য তখন তাকে বলা হয়েছিল, কারাগারে বেশি দিন থাকতে হবে না। তিন মাসের মধ্যেই বেরিয়ে যেতে পারবেন জামিনে।
গত রোববার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁইয়ার আদালতে এসব কথা জানান মিনু। এর আগে কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। শুনানি শেষে বিচারক জেল সুপারের বক্তব্যের রেকর্ডসহ মিনুর উপ-নথি হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউট (এপিপি) মো. নোমান চৌধুরী আজাদীকে বলেন, মিনুর বিষয়ে এখন সিদ্ধান্ত দেবেন হাইকোর্ট। কারণ যে মামলায় তিনি কারাগারে রয়েছেন, সেটি হাইকোর্টে বিচারাধীন। তবে মিনু যে নিরপরাধ, সেটি নিশ্চিত হতে পেরেছি আমরা। গত সোমবার দুপুরের দিকে মিনুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তার সন্তানরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আগের দিন মিনুর বক্তব্য শোনার পর এদিন জেল সুপারকে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
আদালতসূত্র জানায়, গার্মেন্টসকর্মীকে গলা টিপে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও গ্রেফতারি পরোনা জারির পর কুলসুম সুকৌশলে তার স্থলে মিনুকে আদালতে পাঠায় এবং তার নির্দেশে মিনু আদালতে নিজেকে কুলসুম দাবি করেন। একপর্যায়ে ২০১৮ সালের ১২ জুন কুলসুমের জায়গায় মিনুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার আগে আদালতের পরোয়ানামূলে কুলসুমকে ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়। প্রায় দুই বছর হাজতবাস করে ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তি পান।
উল্লেখ্য, কুলসুম আক্তার কুলসুমী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আনু মিয়ার মেয়ে। অন্যদিকে মিনু সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা।












