ক্যাম্পাস স্থানান্তরের দাবিতে ক্লাস বর্জনের ৬ মাস পর অবশেষে শ্রেণিকক্ষে ফিরেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ১৮২ দিন পর ক্লাস বর্জন স্থগিত করলেও মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলমান রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
গতকাল বুধবার ক্লাস বর্জন কর্মসূচি স্থগিত করে সশরীরে ক্লাসে ফেরেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. শহীদ বলেন, চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে আমরা ক্লাস বর্জন করেছিলাম। কিন্তু ৬ মাসেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ক্লাস বর্জনের ফলে ইতোমধ্যে আমরা সেশনজটসহ একাডেমিকভাবে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। নবীন শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আমরা সশরীরে ক্লাসে ফিরেছি। তিনি বলেন, ক্লাসে ফিরলেও আমাদের আন্দোলন স্থগিত করিনি। চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেয়ার আন্দোলন চলমান থাকবে।
এর আগে, গত বছর নভেম্বর মাসে ক্লাস রুমের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ায় ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে ইনস্টিটিউটকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়াসহ ২২ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন তারা। ২০২২ সালের ২ নভেম্বর ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ও ক্লাস বর্জন করেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলন মূল ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা দাবিতে রূপ নেয়।
২৩ জানুয়ারি থেকে আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফিরতে রাজি হলেও শিক্ষার্থীরা পরে অ্যাকাডেমিক ভবনের বাইরে খোলা প্রাঙ্গণে ক্লাস করেন। এরপর ৩১ জানুয়ারি থেকে পুনরায় শিক্ষার্থীরা মূল ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে নগরীর বাদশা মিয়া সড়কে চারুকলার মূল ফটকে তালা দিয়ে ক্লাস বর্জন ও আন্দোলন শুরু করে। ওই উত্তেজনার মধ্যেই ২ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় চারুকলা ইনস্টিটিউট এক মাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। যা পরে ১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সাথে চারুকলাও খুলে দেয়া হয়।












