যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে আসা একটি মার্কিন সামরিক বিমানকে মেক্সিকো অবতরণের অনুমতি দেয়নি বলে জানিয়েছেন উত্তর আমেরিকার প্রতিবেশী এ দুই দেশের দুই কর্মকর্তা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তারা জানান, গত শুক্রবার মার্কিন সামরিক বিমান দুটি ফ্লাইটে প্রায় দেড়শ অবৈধ অভিবাসীকে গুয়াতেমালায় নামিয়ে আসে; কিন্তু অবতরণের অনুমতি না মেলায় সি–১৭ পরিবহন বিমান মেক্সিকোতে নামানোর পরিকল্পনা কার্যকর করা যায়নি। খবর বিডিনিউজের।
যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর দুই কর্মকর্তা ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমানকে অবতরণের অনুমতি না দেওয়ার এ খবর প্রথম দেয় এনবিসি নিউজ। শুক্রবার পরের দিকে মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের ‘খুবই চমৎকার সম্পর্ক’ বিদ্যমান এবং অভিবাসনের মতো বিষয়গুলোতে তারা একে অপরকে সহায়তা করে যাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, যখন প্রত্যাবাসনের বিষয় আসে, আমরা সবসময় আমাদের ভূখণ্ডে আগত মেক্সিকানদের দুই হাতে গ্রহণ করবো। মার্কিন বিমানকে অবতরণের অনুমতি না দেওয়ার কারণ কী রয়টার্সকে তা জানাননি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেক্সিকান কর্মকর্তা। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতেও ঘটনাটির উল্লেখ ছিল না। কয়েকদিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছিল, তারা ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ নামে পরিচিত অবৈধ অভিবাসীদের মেক্সিকোতে রাখার কর্মসূচিটি ফের চালু করতে যাচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে মেক্সিকোর নাগরিক নন এমন ব্যক্তিদেরও আশ্রয়ের আবেদন নিষ্পত্তি আসার আগ পর্যন্ত মেক্সিকোতে অপেক্ষায় থাকতে হতো। ফের এমন কর্মসূচির আগে আশ্রয়প্রার্থীদের যারা নেবে সেই গ্রহণকারী দেশের অনুমতি লাগবে, মেক্সিকো এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো অনুমতি দেয়নি, বুধবার এমনটাই বলেছিলেন মেক্সিকোর বামপন্থি প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শিনবাউম। মেক্সিকোতে বিমান নামানোর অনুমতি না মেলার ঘটনায় মন্তব্য চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পেন্টাগনের সাড়া পায়নি রয়টার্স।