অভিনব কায়দায় দুইশ’ বছরেরও বেশি পুরনো বলুয়ার দীঘি ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। নগরীর চাক্তাই–খাতুনগঞ্জ এলাকার কাছাকাছিতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দীঘিটির বহু অংশ ইতোমধ্যে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। যেটুকু অবশিষ্ট আছে তাও রাতের আঁধারে ময়লা ফেলে ফেলে ভরাট করে ফেলার কার্যক্রম চলছে। এই দীঘি ভরাটের বিরুদ্ধে মানববন্ধনসহ নানা ধরনের প্রতিবাদ করা হলেও কার্যতঃ দীঘিটিকে রক্ষা করার দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। প্রায় প্রতিরাতেই দীঘিতে ময়লার ভাগাড় তৈরি করা হচ্ছে।
বলুয়ার দীঘি নগরীর একটি ঐতিহ্যবাহী জলাধার। দুইশ’ বছরেরও বেশি পুরনো এই দীঘিটির নামে এলাকাটি পরিচিত। নগরীর ‘বলুয়ার দীঘির পাড়’ বেশ ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকা।
এলাকার হাজার হাজার মানুষ বলুয়ার দীঘির পানি ব্যবহার করে আসছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে দীঘিটি ভরাটের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। দীঘির পূর্ব–পশ্চিম থেকে উত্তর–দক্ষিণ পাড় ভরাট করে তৈরি করা হয়েছে ভবন, ঘরবাড়ি। রাতের আঁধারে ময়লা ফেলে দীঘি ভরাটের অভিনব এক পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। প্রায় প্রতিরাতেই দীঘিতে ময়লা ফেলা হচ্ছে।
স্থানীয় যুবক মোহাম্মদ আরিফ জানান, কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবার শুরু হয়েছে দীঘি ভরাটের অপকর্ম। রাতের আঁধারে চুরি করে ময়লা ফেলা হয়। ট্রাকে বোঝাই করে এনে বস্তা বস্তা ময়লা ফেলা হয় দীঘির পাড় ঘেঁষে। কিছুদিনের মধ্যে সেখানে টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে মাটি শক্ত হলে তৈরি করা হয় পাকা ভবন। দীঘির পানির অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয়। মারাত্মক রকমের নাজুক অবস্থায় পড়েছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের অংশ বলুয়ার দীঘি।
রাতের আঁধারে ময়লা ফেলে দীঘি ভরাটের অপতৎপরতা অব্যাহত থাকলে অচিরেই বলুয়ার দীঘি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলেও স্থানীয়রা আশংকা প্রকাশ করেছেন। তারা দীঘি রক্ষা এবং বেদখল হওয়া জায়গা উদ্ধারের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বলুয়ার দীঘি নিয়ে প্রশাসনের বিশেষ একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেয়া দরকার বলেও স্থানীয়রা মন্তব্য করেছেন।