
বাংলাদেশের ফ্রাঞ্চাইজি লিগ বা বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলতে পারছেননা সাকিব। কিন্তু বিশ্বের নানা ফ্রাঞ্চাইজি লিগে ঠিকই খেলছেন। শুধু খেলছেননা। দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন। এই যেমন গ্লোবাল সুপার লিগে প্রথমবার খেলতে নেমে ব্যাটে–বলে আলো ছড়ালেন সাকিব আল হাসান। প্রথমে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে করলেন ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি। পরে অসাধারণ বোলিংয়ে নিলেন চারটি উইকেট। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে শুভসূচনা করল তার দল দুবাই ক্যাপিটালস। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে সেন্ট্রাল ডিসট্রিক্টসের বিপক্ষে সাকিবদের জয় ২২ রানে। গায়ানায় বৃহস্পতিবার রাতে ২০ ওভারে ১৬৫ রানের পুঁজি গড়ার পর প্রতিপক্ষকে ১৪৪ রানে আটকে দেয় দুবাই ক্যাপিটালস। ৭ টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৭ বলে অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। বোলিংয়ে প্রথম ওভারে মেডেনসহ নেন দুই উইকেট। ৪ ওভারে ১৩ রানে তার শিকার ৪টি। ম্যাচ–সেরা হন তিনিই। টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার একই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ফিফটি ও বোলিংয়ে ৪ উইকেট পেলেন সাকিব। তার সমান দুবার করে এই স্বাদ পেয়েছেন যুবরাজ সিং, ভিরান্দিপ সিং, শোয়েব মালিক, ক্রিস গেইল, জেপি ডুমিনি ও মইন আলি। ইনিংসে চার বা এর বেশি উইকেট সাকিব পেলেন মোট ১৭ বার। ২০ বার পেয়ে এই তালিকায় তার ওপরে আছেন শুধু আফগানিস্তানের রাশিদ খান।
প্রায় ছয় মাস পর স্বীকৃত ক্রিকেটে ফিরে গত মে মাসে পাকিস্তান সুপার লিগে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলে ভালো করতে পারেননি সাকিব। অবশেষে স্বরূপে ফিরলেন ৩৮ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে প্রথম বল হাতে নেন সাকিব। প্রথম বলেই উইল ইয়াংকে বোল্ড করে ৩০ রানের শুরুর জুটি ভাঙেন তিনি। এক বল পর এলবিডাব্লিউ করে ফেরান ডিন ফক্সক্রফটকে। আবার তিনি বোলিংয়ে আসেন একাদশ ওভারে। তৃতীয় বলে চার মারেন জশ ক্লার্কসন। পঞ্চম বলে তাকে বোল্ড করে প্রতিশোধ নেন সাকিব। এই ওভারে ৭ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। পরের ওভারে কোনো উইকেট না পেলেও সাকিব দেন কেবল ৪ রান। যদিও বাই থেকে আরও চারটি রান আসে এই ওভারে। নিজের কোটার শেষ ওভারে সাকিব বোল্ড করেন উইলিয়াম ক্লার্ককে। ইনিংসের সপ্তদশ ওভারে দেন কেবল ২ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে দুটি উইকেট নেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের পেসার খুজাইমা তানভির। নিউজিল্যান্ডের দল সেন্ট্রাল ডিসট্রিক্টস জয়ের আশা জাগাতে পারেনি কখনোই। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন অধিনায়ক টম ব্রুস। ম্যাচের প্রথম ভাগেও সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম ছিলেন সাকিব। অষ্টম ওভারে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলে চার মেরে শুরু করেন তিনি। ১৮ রানে তিনি জীবন পান ফিল্ডার ক্যাচ ফেলায়। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যান বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার। শেষ ওভারে ম্যাথু ফোর্ডকে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেন ৩৪ বলে।