Home বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করার প্রস্তাব

কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করার প্রস্তাব

0
কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব  নির্বাচন করার প্রস্তাব

অবিলম্বে কোতোয়ালী থানা বিএনপি’র বিদ্যমান সাংগঠনিক কমিটি বিলুপ্তির দাবি করেছেন দলটির তৃণমূল কর্মীরা। একইসঙ্গে কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করারও প্রস্তাব করেন তারা। এক্ষেত্রে ‘ত্যাগী’ কর্মীকে মূল্যয়ন করতে বলা হয়। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত কোতোয়ালী থানা বিএনপি’র কর্মী সমাবেশে এসব দাবি করা হয়। সভায় উপস্থিত সংগঠনটির একাধিক পদধধারী বিষয়টি দৈনিক আজাদীতে নিশ্চিত করেন। তারা আজাদীকে জানান, সমাবেশে দীর্ঘদিন ধরে কোতোয়ালী থানা বিএনপি’র বর্ধিত সমাবেশ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কয়েকজন বক্তা। এছাড়া ‘এক নেতার এক পদ’ নীতি অনুসরণ না করে কমিটিতে একাধিকজনকে স্থান দেয়ায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সমাবেশে থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের র্শীষ দুই নেতা পরস্পরের বিরুদ্ধে বক্তব্যও রাখেন। ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা দাবি করেন, থানার কোনো কর্মসূচি তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হয় না।
জানা গেছে, নগরের প্রতিটি থানায় কমিটি পুর্নগঠনের লক্ষ্যে মাসব্যাপী কর্মী সমাবেশের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। গতকাল প্রথম দিন নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে কোতোয়ালী থানা বিএনপি’র কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। এছাড়া নগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রধান বক্তা, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বিশেষ অতিথি ছিলেন। কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন।
নাম প্রকাশ না করার সূত্রে সমাবেশে উপস্থিত একাধিক নেতা আজাদীকে জানান, ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ড সভাপতি আকতার খান ক্ষোভ প্রকাশ করে তার বক্তব্যে বলেছেন, গত তিন বছরে একটিও বর্ধিত সভা করেতে পারেনি কোতোয়ালী থানা বিএনপি। তাই এ কমিটিকে ব্যর্থ বলা যায়। ওয়ার্ড পর্যায়ের অনেক পদধারীকে স্থান দেয়া হয়েছে থানা কমিটিতে, অথচ এক নেতার এক পদ বাস্তবায়ন করলে তার সুযোগ নাই। ব্যর্থ হওয়ায় কমিটি গঠনের পর পর কোতোয়ালী থানা থেকে ১০ জন পদত্যাগ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আকতার খানের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন। পরে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাকির হোসেন আজাদীকে বলেন, কথা কাটাকাটি হয়নি। ওনি (আকতার খান) বলেছেন, এরশাদ সরকারের সময় থেকে রাজনীতি করছেন। তাই বললাম, ১৯৮৬ সালে ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটিতে ছিলাম। তখন তো আপনাকে দেখিনি। শুধু এটুকু।
কোতোয়ালী থানাকে ব্যর্থ দাবি করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বলেন, কেউ ব্যর্থ বলেনি। সাংগঠনিক আলোচনা হয়েছে। সবার পরামর্শক্রমে মিলেমিশে কমিটি করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেছেন, পরামর্শ নিই নাই। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার সময় তারা কাকে কাকে কমিটিতে রাখবো তার যে সুপারিশ করেছিল তার প্রমাণ আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।
জানতে চাইলে আকতার খান আজাদীকে বলেন, দলকে সুসংগঠিত করার জন্য সাংগঠনক জায়গা থেকে বক্তব্য রেখেছি। বলেছি, সবার পরামর্শ নিয়ে এবং কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি করা হয়। নিজস্ব বলয় তৈরি করার জন্য কমিটি না হয়। যোগ্য ও ত্যাগীদের যেন মূল্যায়ন করা হয়।