দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএল নিয়ে প্রতি বছর অনেক সমালোচনা শুনতে হয় বিসিবির। অব্যবস্থাপনা আর সমন্বয়হীনতার কারণে কখনোই সে অর্থে বিপিএল আয়োজন করে প্রশংসিত হয়নি বিসিবি। নতুন আসরের আগে তাই সতর্ক তারা। সুন্দর ও গোছালো টুর্নামেন্ট করতে এবার অভিনব পরিকল্পনা তাদের। সব ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বর–জানুয়ারিতে বিপিএলের দ্বাদশ আসর করতে চায় বিসিবি। মাঝে সময় আছে পাঁচ মাসেরও কম। এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। আগামী সপ্তাহ থেকে বিপিএলের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান তারা। মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বোর্ড পরিচালকদের সভার পর সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম। টুর্নামেন্টে স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণটা আরও ইনক্লুসিভ করার জন্য আগামী সপ্তাহ থেকে বিপিএল সম্পর্কে একটা ধারণা নিতে চাই বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার থেকে। এই স্টেকহোল্ডার বা অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনায় কারা থাকবেন সেটিও জানান বিসিবির এই পরিচালক।
বিভিন্ন মিডিয়া হাউজের সাংবাদিকদের সঙ্গে একটা পরামর্শমূলক প্রোগ্রাম করব। ক্রিকেটার, কোচ ও টেকনিক্যাল স্টাফ নিয়ে হবে আলোচনার আরেকটা গ্রুপ। আগের ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্ণধার, বিসিবির সঙ্গে যাদের কোনো ঝামেলা নাই তাদের সঙ্গেও আলোচনা করব। আমরা স্পন্সর ও কমার্শিয়াল পার্টনারদের সঙ্গেও আলোচনায় বসব। একটা আবেদন প্রক্রিয়া করে সমর্থকদেরও সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করব। যেখানে আমরা বোঝার চেষ্টা করব ভক্তরা কী কী দেখতে চায়।। বোর্ড পরিচালকদের আগের সভার পর বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেছিলেন, বিপিএল আগের চেয়ে আরও ভালোভাবে আয়োজনের জন্য একটি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে এরই মধ্যে বিসিবির ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় এক্সপ্রেস অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিসিবি। মাহবুবের আশা, অগাস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে ফেলতে পারবেন তারা।
বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলে এখন মাহবুব ছাড়া আছেন সদস্য সচিব নাজমুল আবেদীন ও সদস্য ফাহিম সিনহা। খুব শিগগিরই গভর্নিং কাউন্সিলে একজন করে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, আইনজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ ও বিপণন বিশেষজ্ঞ নেওয়া হবে। বিসিবির আশা অক্টোবরের শুরুর দিকে হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট। সে লক্ষ্যে অগাস্টের শেষ বা সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিপিএলের জন্য নতুন মডেল পাওয়ার আশা করছেন মাহবুব। এছাড়া আগস্টে মিডিয়া স্বত্ব, ডিজিটাল স্বত্ব ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ঠিক করার প্রক্রিয়ায় যাবে গভর্নিং কাউন্সিল। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকের মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়োগ শেষ করতে চান তারা। পাঁচ বছরের জন্য দেওয়া হবে ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ব। যা আরও পাঁচ বছরের জন্য নবায়নের সুযোগ রাখা হবে।