চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের নবনির্বাচিত মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নিচ্ছেন। তাঁর দায়িত্ব নেয়ার মধ্যদিয়ে দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র পাচ্ছে। গত বছরের ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৫ম নির্বাচিত পরিষদের নির্বাচিত মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন মেয়রের দায়িত্ব থেকে বিদায় নেন। এর একদিন পরই চসিকের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে। ৬ মাসের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে। গত ১ ফেব্রুয়ারি তাঁর ৬ মাসের দায়িত্ব শেষ হলে তিনি বিদায় নেন। এরপর থেকে গত ১৪ দিন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চসিকের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের নবনির্বাচিত মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
দায়িত্ব গ্রহণের আগে এই সুধী সমাবেশের আয়োজন প্রসঙ্গে নবনির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আজাদীকে বলেন, আমি চট্টগ্রামের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ-সাংবাদিক, শিক্ষক, প্রকৌশলী, স্থপতি-চিকিৎসক-আইনজীবীসহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করে তাদের মতামত নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করতে চাই। এজন্যই সুধী সমাবেশের আয়োজন করেছি। আমি আগেই বলেছি, সবার সাথে পরামর্শ করেই আমি প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। প্রত্যেক কাজে সকলের মতামত নেবো। বিশেষজ্ঞদের মতামতকে আমি প্রাধান্য দেবো। আমার প্রধান এবং একমাত্র কাজ হবে এই নগরীর মানুষের সেবা করা। আমি সেবক হিসেবে কাজ করবো। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে আমি ১০০দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। যে কাজগুলো দ্রুত করতে হবে সেইগুলো আগে করবো। যেমন : গুরুত্বপূর্ণ ভাঙাচোরা রাস্তাগুলো সংস্কার করা, মশক নিধন করা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এসব কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করবো। সুধী সমাবেশে সবার পরামর্শ নেবো।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি নবনির্বাচিত মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এবং কাউন্সিলররা শপথ গ্রহণ করেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে শপথ পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অপরদিকে নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথ পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নৌকা প্রতীকে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পান ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।
পরে ৩১ জানুয়ারি নির্বাচিত মেয়রসহ ৫৫ জন নির্বাচিত প্রার্থীদের নাম-ঠিকানা সম্বলিত গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবারই প্রথম আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী মিলে আওয়ামী লীগের ৫৪ জন কাউন্সিলর (বিএনপির কেউ নির্বাচিত হননি) নির্বাচিত হয়েছেন।
