মৃত্যুশূন্য ১৯ দিন পর চট্টগ্রামে করোনায় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ জানুয়ারি করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন মারা যান। এদিকে, গতকাল নতুন ৫৩ জনের দেহে সংক্রমণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সংক্রমণ হার ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। খবর বাসসের।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর পাঁচটি ও কঙবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৫৩ জনের পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫০ জন ও দুই উপজেলার ৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে পটিয়ায় ১ জন ও বোয়ালখালীতে ২ জন। জেলায় করোনা ভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩৩ হাজার ৮৯৭ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৬ হাজার ৫১৩ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৩৮৪ জন। গতকাল করোনার জটিলতায় এক রোগীর মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩৭০ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ২৬৯ জন ও গ্রামের ১০১ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে গতকালের আগে একটানা ১৯ দিন করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ এক জনের মৃত্যু হয় ২৪ জানুয়ারি। অন্যদিকে, গত ১২ দিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশ’র নিচে রয়েছে। পহেলা ফেব্রুয়ারি এ মাসে শতক পেরিয়ে যাওয়ার দিনে জীবাণুবাহক ১০৮ জন চিহ্নিত হয়। এর আগে ১২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা ১৯ দিন করোনা ভাইরাসের বাহক সংখ্যা একশ’র নিচে ছিল। ১২ জানুয়ারি ১২৭ জন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হয়। সেদিন ২ রোগীরও মৃত্যু হয়। সংক্রমণের হার ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। করোনাকালের সর্বনিম্নের রেকর্ডটিও হয় ৬ ফেব্রুয়ারি। এদিন ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৯৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩২৮ জনের নমুনার মধ্যে ২২ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ একটি নমুনা পরীক্ষা করা হলে সেটির রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১৫৫ টি নমুনা গরীক্ষায় ২০ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৩ টি নমুনার ১ টিতে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ৩৫ জনের নমুনা কঙবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ০৪ শতাংশ, চমেকে ৬ দশমিক ৭১, শেভরনে ১২ দশমিক ৯০ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। আরটিআরএল ও কক্সবাজার মেডিকেলে শূন্য শতাংশ সংক্রমণ হার পাওয়া যায়।