গ্লোবাল সুপার লিগে সাকিবের প্রতিপক্ষ ছিল রংপুর রাইডার্স। এই দলে সাকিবের খেলার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাকে দলে নেয়নি রংপুর। তবে সে রংপুরের বিপক্ষেও সাকিব পারলেন না তেমন কিছু করতে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ব্যাটে–বলে দারুণ পারফর্ম করলেও পরের দুই ম্যাচে ছিলেন ব্যর্থ। পরের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষেও পারলেননা জ্বলে উঠতে। পরপর দুই ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকার পর এবার মিতব্যয়ী বোলিংয়ে উইকেটের দেখা পেলেন একটি। তবে ব্যাট হাতে আরেকবার দুই অঙ্কে যেতে ব্যর্থ হলেন সাকিব আল হাসান। তার প্রতিপক্ষ দলে আলো ছড়ালেন সৌম্য সরকার, নুরুল হাসান সোহান ও সাইফ হাসান। আর তাতেই সাকিবদের দুবাই ক্যাপিটালসকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। গায়ানায় বুধবার গতবারের চ্যাম্পিয়নদের জয় ৮ রানে। ১৫৮ রানের পুঁজি গড়ে প্রতিপক্ষকে ১৫০ রানে গুটিয়ে দেয় তারা। প্রাথমিক পর্বে প্রথম তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতল বাংলাদেশের দলটি। জয়ে শুরুর পর টানা তিন হারে আসর থেকে বিদায় নিল দুবাই ক্যাপিটালস।
দুবাই ক্যাপিটালের একমাত্র জয়ে ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পর ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ–সেরা হয়েছিলেন সাকিব। পরের তিন ম্যাচে দলের মতো বিবর্ণ তিনি নিজেও। হোবার্ট হারিকেন্স ও গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৭ ও ৪ রান, উইকেট পাননি একটিও। রংপুরের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন তিনি। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ বলে করেন ৩। ব্যাটিংয়ে সবশেষ ১০ টি–টোয়েন্টি ম্যাচের ৭টিতে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারলেন না সাকিব। এক ম্যাচে ব্যাটিং পাননি। অন্য দুই ম্যাচে ২৬ বলে ৩৫ ও ৩৭ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। বোলিংয়ে এই ১০ ম্যাচে সাকিবের উইকেট ৬টি। এর মধ্যে ৭ ম্যাচে কোনো উইকেট পাননি বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার। বিশ ওভারের ক্রিকেটে ৩৮ বছর বয়সী এই স্পিনিং অলরাউন্ডারের ৫০০ উইকেটের অপেক্ষাও বাড়ল। বর্তমানে তার উইকেট সংখ্যা ৪৯৭টি।
প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সৌম্য সরকার ফিরেন ২৮ বলে ৩৬ রান করে। তবে সাত নম্বরে নেমে ইনিংসের শেষ দুই বলে দুই ছক্কায় রংপুরের স্কোর দেড়শ পার করেন সোহান। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৮ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে সোহানের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৫৪ রানের জুটি গড়া পাকিস্তানের ইফতিখার আহমেদ ৩২ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুবাই ক্যাপিটালসের আফগান ওপেনার সেদিকউল্লাহ আতালের ৩১ বলে ৩৮ ছাড়া আর কেউ ত্রিশ ছুঁতে পারেননি। ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পাওয়া সাইফ অফ স্পিনে ঝলক দেখান। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৩ ওভারে ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। তার বলেই স্টাম্পড হয়ে ফেরেন সাকিব। আগের দুই ম্যাচে ৪টি করে উইকেট নিয়ে দুবারই ‘ম্যান অব দা ম্যাচ’ হওয়া সৈয়দ খালেদ আহমেদ এবার ৩.২ ওভারে কেবল ১৪ রান দিয়ে ধরেন ২ শিকার। শেষ ১২ বলে ২৮ রানের সমীকরণে, ১৯তম ওভারে স্বদেশি আজমাতউল্লাহ ওমারজাইকে দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরে নাটকীয় কিছুর আশা জাগান আফগান স্পিনার কাইস আহমাদ। তবে ওই ওভারেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ডমিনিক ড্রেকসকে ফিরিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন পেসার খালেদ। প্রাথমিক পর্বে রংপুরের ম্যাচ বাকি আছে আরও একটি।