এনসিপির পদযাত্রায় স্লোগানে স্লোগানে মুখর নগরী

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২১ জুলাই, ২০২৫ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

জুলাই আন্দোলনের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে সারাদেশে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি করছে জাতীয় নাগরিক পার্টিএনসিপি। গতকাল দুপুরে রাঙামাটিতে পদযাত্রা শেষে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরে সমাবেশ ও পদযাত্রা করেছে দলটি। এতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে এনসিপি, জাতীয় যুব শক্তি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতাকর্মীরা দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দেন। এর আগে বান্দরবান থেকে শনিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীতে ফেরেন এনসিপি নেতারা। গতকাল সকালে নগরীর স্টেশন রোডস্থ মোটেল সৈকতে শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন তারা। এরপর দুপুরে রাঙামাটিতে কর্মসূচি শেষ করে সরাসরি চট্টগ্রাম নগরীতে আসেন এনসিপি নেতারা। চট্টগ্রাম থেকে আজ সোমবার সকালে তারা খাগড়াছড়িতে গিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

এদিন এনসিপির সমাবেশ উপলক্ষে বিকাল তিনটা থেকে বিপ্লব উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে জমায়েতের পর পদযাত্রায় দুই নম্বর গেট পৌঁছান এনসিপি নেতাকর্মীরা। পদযাত্রায় কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। পদযাত্রা এগিয়ে যাবার সময় সড়কের দুপাশে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে। নাহিদ ইসলাম বারবার হাত নেড়ে জনতাকে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেছে। ঢোলবাদ্যের তালে তালে মিছিলে স্লোগান তুলেন নেতাকর্মীরা। হাজারো নেতাকর্মীর এসময় ‘মুজিববাদমুর্দাবাদ, আপোষ না সংগ্রাম সংগ্রাম, ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’সহ নানা স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে নগরী। সমাবেশস্থলে আসা হাজারো মানুষের করতালি আর স্লোগানে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে চট্টগ্রামে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রথম কর্মসূচি।

এছাড়া জমিয়তুল ফালাহ থেকে জাতীয় যুব শক্তি মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দেয়। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দিতে দেখা যায়। এর আগে গতকাল দুপুরে রাঙামাটিতে পদযাত্রা শেষ করে বিকেল ৫টার দিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা চট্টগ্রাম নগরীতে পৌঁছেন। এরপর তারা নগরীর স্টেশন রোডে মোটেল সৈকতে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। এরপর সমাবেশ ও পদযাত্রার উদ্দেশ্যে বের হন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

পুলিশ জানিয়েছে, কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে ষোলশহর দুই নম্বর গেইট পর্যন্ত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, নিরাপত্তার স্বার্থে যা যা দরকার, সব করা হয়েছে। পুলিশের নিয়মিত সদস্য, গোয়েন্দা টিমসহ প্রস্তুত রাখা হয় ডগ স্কোয়াডও।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকন্টেনার হ্যান্ডলিং চার্জ বাড়াচ্ছে আইসিডি
পরবর্তী নিবন্ধনতুন বাংলাদেশে নতুন চট্টগ্রাম চাই