অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা অভিযোগের ২১ মামলার পলাতক আসামি মো. তোফাজ্জল হোসেনকে (৬২) গ্রেপ্তার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। গত সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে রাজধানী ঢাকার রামপুরা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত তোফাজ্জলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তোফাজ্জল শেরপুর জেলা সদর থানার চরখার চর এলাকার মন্ডল বাড়ির মো. সুরুজ আলী ও মোছাম্মৎ নুর জাহান বেগমের পুত্র। সে বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানাধীন উত্তর আগ্রাবাদের রমনা আবাসিক এলাকার ১ নং রোডের ইহবাস ভবন এ বাস করে।
ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত তোফাজ্জল নগরীর আগ্রাবাদে অবস্থিত জীবন বীমা ভবনের ৫ম তলায় মেসার্স চট্টলা বোরিং নামক প্রতিষ্ঠানের প্রোপ্রাইটর হিসেবে পরিচয় দিতো। এ পরিচয়ে সে সহজ সরল লোকজনের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের ফাইলিং কাজের নামে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করতো। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ বুঝিয়ে না দিয়ে বিশ্বাস জমানোর জন্য সে বিভিন্ন গ্রাহককে চেক প্রদান করতো। এসব চেক ডিজঅনার হওয়ায় অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে গ্রাহকেরা তার বিরুদ্ধে পৃথকভাবে ২১টি মামলা রুজু করে। এসব মামলায় তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এরপর সে রাজধানী ঢাকার রামপুরাস্থ মাল্টিকেয়ার হাসপাতালের পেছনে ৩৮৫, জনৈক ইউনুছের বিল্ডিংয়ের ৫ম তলায় বাসা নিয়ে আত্মগোপনে থাকে। সোমবার রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে রামপুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।












