বায়েজিদের শেরশাহ কলোনী এলাকায় ইফতারের সময় বাসার নিচ থেকে ঠিকাদার নজরুল ইসলামের মোটর সাইকেলটি চুরি হয়। চুরির সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক চোর চক্রের এক সদস্য সাকিবকে দেখে ধরে উত্তম মধ্যম দেয়। পরে তাকে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সাকিব সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর ইউনিয়নের লতিফনগর এলাকার মীর হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় মামলা করেন ঠিকাদার নজরুল ইসলাম।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব জানায়, সে একা নয়, তার সাথে মোটর সাইকেল চুরি থেকে বিক্রি করা পর্যন্ত এ চক্রে আরো ছয়জন আছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গতকাল শুক্রবার ভোর পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সাকিবের চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের তথ্য মতে আরো পাঁচটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। সাকিবের সাথে গ্রেপ্তারকৃত বাকি চারজন হলো বড় কুমিরা উত্তর মছজিদা পুর্নবাসন প্লট এলাকার মৃত রফিক মিয়ার ছেলে মো. সোহেল, বাঁশবাড়িয়া বোয়ালিকুল এলাকার দিদারুল আলমের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, একই ইউনিয়নের মুক্তিপাড়া এলাকার মো. ইউনুছের ছেলে মো. পারভেজ এবং শীতলপুর ইউনিয়নের বারআউলিয়া এলাকার মো. মাহবুবুল আলমের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন রাব্বী। তবে মিরাজ ও আজাদ এখনো ধরা পড়েনি।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান আজাদীকে জানান, ঠিকাদার নজরুল ইসলামের মোটর সাইকেল চুরির সময় সাকিবের সাথে ছিল মিরাজ ও আজাদ। তারা চোরাই মোটরসাইকেলগুলো দেয় জাহিদুলকে। সে বিক্রির জন্য দেয় সোহেলকে। সেগুলো আবার পাইকারি দামে কিনে নেয় পারভেজ, কামরুল ও রাব্বী। তারা চেসিস, ইঞ্জিন নম্বর বদলিয়ে খুচরা মূল্যে বিক্রি করে বিভিন্ন লোকজনের কাছে। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই পেশাদার চোরচক্রের সদস্য। তারা মোটরসাইকেল চুরি করে সংরক্ষণ, বিতরণ ও বিপণণে কাজ করে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।












