ব্যটিং ব্যর্থতায় পাইরেটসের বড় হার

শিরোপার পথে এগিয়ে গেল আবহানী

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ১১ মার্চ, ২০২২ at ৭:২৮ অপরাহ্ণ

বড় দলের তকমা নিয়ে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে খেলতে নামা পাইরেটস অব চিটাগাং বড় দুই ম্যাচেই হলো ধরাসায়ী। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাদার্সের কাছে বড় ব্যবধানে হারের শিরোপা নির্ধারনী সুপার ফোর পর্বে আবাহনীর কাছে বরণ করল লজ্জার পরাজয়।

শিরোপা নির্ধারণী পর্বের শুরুতেই একরকম উড়ে গেল পাইরেটস অব চিটাগাং। তাদের পরাজয়টা ১১৯ রানের বিশাল ব্যবধানে। অপরদিকে আবাহনী যে শিরোপা জেতার পথে একেবারে কোমর বেধে নেমেছে তা প্রমাণ করল আরো একবার।

একেবারে অজেয় থেকে সুপার ফোর পর্বে জায়গা করে নেওয়া আবাহনী আজ শুক্রবার শিরোপা নির্ধারণী পর্বে প্রতিপক্ষকে একেবারে উড়িয়ে দিয়েছে। ব্যাট হাতে রানের পাহাড় গড়ার পর বল হাতে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের দাড়াতেই দেয়নি আবাহনীর বোলাররা।

ব্যাটিংয়ে ইমরান এবং রিপনের হাফ সেঞ্চুরির পর বল হাতে তৌহিদুল আগুনে পুড়ে ছাড়খার হয়ে যায় পাইরেটসের ব্যাটিং লাইন। যার পরিণতি বিশাল পরাজয়। আর এই পরাজয়ের ফলে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাও যেন কিছুটা ফিকে হয়ে গেল পাইরেটসের।
এমনিতেই এক ম্যাচ হেরে সুপার ফোর পর্বে গিয়েছিল পাইরেটস। তার উপর প্রথম ম্যাচে এমন হার পয়েন্টের হিসেবেই শুধু পিছিয়ে পড়েনি মানসিক দিক থেকেও যেন পিছিয়ে গেল অনেকটা। অপরদিকে আবাহনী তাদের দলীয় সমরেঝাতার ফল পেল দারুন এক জয়ে।

টসে জিতে ব্যাট করতে নামা আবাহনীর শুরুটা ভাল হয়নি। ১২ রানের মাথায় ১০ রান করে ফিরেন সানজু। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮ রান যোগ করেন মহিউদ্দিন এবং শোয়েব। ১৯ রান করে ফিরেন মহিউদ্দিন। ২০ রান পর ফিরেন ২৫ রান করা শোয়েব। এরপর জুটি বাধেন ইমরান এবং জাহেদ। যোগ করেন ৮২ রান। ৪৫ বলে ৩৬ রান করা জাহেদ রান আউট হলে ভাঙ্গে এজুটি। এরপর ইমরানকে নিয়ে দলকে টানতে থাকেন অধিনায়ক রিপন। দুজন মিলে ৫৩ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন। ৮৭ বলে ৪টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ৭২ রান করে ফিরেন ইমরান। এরপর রিপন এবং আবু বক্করের ঝড়ে ২৭৬ রানের পাহাড়ে চড়ে আবাহনী। মাত্র ৩৯ বলে ৭টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ রান করেন রিপন। ১১ বলে ২টি ছক্কার সাহায্যে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন আবু বক্কর। পাইরেটসের পক্ষে ইফরান হোসেন নেন ৫ উইকেট।

২৭৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ম্যাচে হেরে বসে পাইরেটস। প্রথম ওভারেই রানের খাতা খোলার আগে ফিরেন আসলাম হোসেন। দ্বিতীয় ওভারে রিপনের শিকার হয়ে ফিরেন আরেক ওপেনার ফখরুল। রানের খাতা খোলা হয়নি তখনো পাইরেটসের। নিজের দ্বিতীয় ওভারে রুবেলকে যখন ফেরান তৌহিদুল তখন পাইরটেসের রান ৩ উইকেটে ১। জাতীয় দলের ওপেনার নাইম শেখও পারলেননা দলের এই বিপর্যয়ের মুহুর্তে লড়াই করতে। তিনিও ফিরলেন তৌহিদুলের শিকার হয়ে ৩ রান করে।

মূলত তৌহিদের আগুনের মুখে পড়ে ২০ রানে ৬ উইকেট নেই পাইরেটসের। দলে তখন আর থাকে কি। সপ্তম উইকেটে আবির এবং রাজিব মিলে ২৫ রানের বেশি যোগ করতে পারেনি। দলের সম্ভ্রম বাঁচানোটা যখন সবচাইতে বড় হয়ে দাড়িয়েছিল পাইরেটসের ঠিক তখনই ফিরেন আবির ১৫ রান করে। ৪৫ রানে নেই ৭ উইকেট। ৫৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে পাইরেটস তখন শতরানের নিচে অল আউট হওয়ার শংকায়।

তখন হাল ধরেন রাজিব এবং বল হাতে ঝড় তোলা ইফরান। মাটি কামড়ে ধরে ৮৬ রানের জুটি গড়ে দলকে বাঁচান সবচাইতে বড় লজ্জার হাত থেকে। দুজনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। এ দুজনের কল্যানে ১৫৭ রানে অল আউট হয় পাইরেটস । তখনো জয় থেকে ১১৯ রান দুরে। ১১৪ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করেন রাজিব আর ৬৪ বলে ৬টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫২ রান করেন ইফরান। আবাহনীর তৌহিদুল হাসান মাত্র ১৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে পাইরেটসের ব্যাটিং লাইন ধ্বসিয়ে দেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মোসাদ্দেক, শোয়েব, আবু বক্কর এবং রিপন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন আবাহনীর তৌহিদুল হাসান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধপ্রধানমন্ত্রী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দিনে-রাতে জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন