নতুন স্মৃতিসৌধে ২৬ মার্চে পুষ্পস্তবক অর্পণের সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৬ মার্চ, ২০২৪ at ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে গতকাল সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান আসন্ন ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে পুস্পস্তবক অর্পণের বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় উপস্থিত চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাহাড়তলীস্থ উত্তর কাট্টলীতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকৃত ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন নতুন চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ তৈরি করে সেখানে আসন্ন ২৬ মার্চে পুষ্পস্তবক অর্পণের দাবি জানান। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ড ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুর উদ্দিন বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সূতিকাগার চট্টগ্রাম। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ সময় পার হলেও চট্টগ্রামে কোন স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়নি। বর্তমান জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের দূরদর্শীতা ও আন্তরিকতায় চট্টগ্রামে এখন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ হচ্ছে যা চট্টগ্রামবাসীর জন্য গর্বের। বাস্তবায়নাধীন স্মৃতিসৌধে আগামী ২৬ মার্চ প্রথমবারের মতো বীর শহীদদের স্মরণে পুস্পস্তবক অর্পণ করা গেলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি পূরণ হবে। উক্ত প্রস্তাবে একমত পোষণ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের দাবি নতুন স্মৃতিসৌধ আমার জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারবো তা কখনও কল্পনা করি নাই। জেলা প্রশাসকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চট্টগ্রামে নতুন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ এখন বাস্তবায়নাধীন। এই স্মৃতিসৌধ আমাদের অস্তিত্ব আর বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রতীক ও আমাদের ইতিহাসের স্মারক। এবারের ২৬ মার্চএর পুস্পস্তবক অর্পণের জন্য বাস্তবায়নাধীন স্মৃতিসৌধের স্থানে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে পুস্পস্তবক অর্পণের জোর দাবি জানিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘদিনের মনের আশা পূরণ হবে বলে তিনি মনে করেন। সভায় উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে এবারের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে প্রস্তাবিত চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জায়গায় অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে সেখানে পুস্পস্তবক অর্পণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল মালেক, সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, মেট্টোপলিটন ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, বেসরকারি এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী উল্লিখিত স্থানে চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলায়ন্স ক্লাব চট্টগ্রাম মহানগরের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধআঁকার মাঝে