ডাকসু নির্বাচন আজ

প্রার্থী ৪৭১ জন, আট কেন্দ্রে ভোট দিবেন ৩৯ হাজার ৮৭৪ শিক্ষার্থী

| মঙ্গলবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় নির্বাচন উপলক্ষে এরই মধ্যে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। সব মিলিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ ভোটগ্রহণের দিনসহ আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৪৭১ জন। ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। আটটি ভোটকেন্দ্রে ৮১০টি বুথ বসানো হয়েছে।

এর আগে গত রোববার নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চেয়েছেন। এ সময় ভোটাররাও আগ্রহ সহকারে প্রার্থীদের ইশতেহার ও কথা শুনেছেন। দিনভর প্রার্থী ও ভোটারদের আলাপচারিতায় মুখরিত ছিল পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিগত সময়ে তারা তেমন কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি। তাই আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচন তাদের জীবনে প্রথম কোনো ভোটাধিকার প্রয়োগের উপলক্ষ হতে যাচ্ছে। এ জন্য তারা খুবই উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত। শিক্ষার্থীরা একটু সুষ্ঠু পরিবেশে তাদের জীবনের প্রথম ভোট প্রয়োগের প্রত্যাশা করছেন। ভোটদানের মাধ্যমে তারা যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করতে চাইছেন।

শিক্ষার্থীরা আরো জানান, এবারের ডাকসু নির্বাচন অন্য সব নির্বাচনের চেয়ে আলাদা হতে যাচ্ছে। কেননা এবার একচ্ছত্র আধিপত্য ধারণ করা কোনো ছাত্রসংগঠনই ক্যাম্পাসে নেই। তাই সব ছাত্রসংগঠন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সমান প্রচারপ্রচারণার সুযোগ পাচ্ছেন এবং শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।

এতে করে শিক্ষার্থীরাও তাদের ইশতেহার সম্পর্কে এবং নির্বাচিত হলে প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কী কী কাজ করবেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারছেন। এতে করে শিক্ষার্থীদের বাছাই করতে সুবিধা হচ্ছে যে তারা কাকে ভোট দেবেন। প্রার্থীদের ইশতেহারগুলো শুনে নিজেরাই সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। আর এ জন্য তাদের মধ্যে আলাদা একটি উৎসাহ কাজ করছে।

এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য পুলিশের ৮টি চেকপোস্ট কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী খান। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর ইউনিট থাকবে। ২ হাজার ৯৬ জন পোশাকধারী দায়িত্বে থাকবেন। নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আশঙ্কা নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারী থানায় নতুন ওসি
পরবর্তী নিবন্ধআন্দোলনে গুলি চালান সাবেক মেয়র নাছিরও