গণ-আন্দোলনে রূপ নেয় রাষ্ট্রভাষার আন্দোলন

আজাদী ডেস্ক | শুক্রবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৪:৫৪ পূর্বাহ্ণ

একুশে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সরকার গুলি চালায় ছাত্রদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য। ছাত্রদের ওপরে গুলি চালানোর ফলে রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূর হয়ে যায়। রক্তের দাগ শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ছাত্ররা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ভাষা আন্দোলন গণ-আন্দোলনে রূপ নেয়। রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নন, এমন ছাত্ররা দলে দলে যুক্ত হতে থাকল জমায়েতে। সরকার ও পুলিশ ভুলে গেল শহর থেকে তখনও ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়নি। গুলি চালানো এবং ছাত্রজনতা হতাহতের সংবাদে ঢাকার হাজার হাজার সাধারণ মানুষ আসতে লাগল হাসপাতালে, ব্যারাকে।
এদিকে, পরিষদ ভবনকে (বর্তমানের জগন্নাথ হল) কেন্দ্র করে তিন দিক থেকে তিনটি মাইক আগুন ঝরাচ্ছে। ‘একুশের শপথ রাষ্ট্রভাষা বাংলা’, রাজবন্দিদের মুক্তি চাই’ মাইকে মাইকে এসব স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত। ছাত্রদের ওপরে গুলি ও হতাহতের ঘটনায় পরিষদ ভবনেও ঝড় উঠেছে। খয়রাত হোসেন, মওলানা তর্কবাগীশসহ নির্দলীয় এবং কংগ্রেস সদস্যরা এর প্রতিবাদে পরিষদ বর্জন করেন। ধীরেন দত্ত পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন এবং মওলানা তর্কবাগীশ ছাত্রদের জমায়েতে বক্তৃতা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে ছাত্রদের ব্যস্ততার শেষ নেই। ব্যারাক কক্ষে সবাই মিলিত হয়ে পরদিন অর্থাৎ ২২ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী হরতাল, ঘরে ঘরে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, মেডিক্যাল ব্যারাক থেকে শোক মিছিল প্রভৃতি কর্মসূচি নেওয়া হয়। তবে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ বিলুপ্ত হয়ে গেল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুযোগ আসছে টিকাগ্রহণ কেন্দ্র পরিবর্তনের
পরবর্তী নিবন্ধফেরত যাচ্ছে পাউবো প্রকল্পের অর্ধেকের বেশি টাকা