কাপ্তাই হ্রদে অপরূপ ‘হাউস বোট’

রাঙামাটি প্রতিনিধি | শনিবার , ৮ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপরূপ লীলাভূমি রাঙামাটি। এখানে রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম জলরাশি সুবিশাল কাপ্তাই হ্রদ। হ্রদের শান্ত নীল জল যে কারো হৃদয় শীতল করে দেয়। প্রকৃতির নির্মল ছোঁয়া পেতে পাহাড়ের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিয়াসু পর্যটকরা।

পাহাড়, পাহাড়ি নদী আর ঝর্ণার যেন জীবন্ত ক্যানভাস। প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখা এবং এর সৌন্দর্য্যে উপভোগ করতে এবার প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য কাপ্তাই হ্রদের শান্ত নীল জলে ভাসানো হয়েছে সুসজ্জিত এবং মনোরম বেশ কয়েকটি ‘হাউস বোট’। এই হাউজ বোটে করে জলে ভেসে প্রকৃতির রূপ ও সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসুদের হাতছানি দিচ্ছে। সারাদিন জলে ভেসে হ্রদ পাহাড়ের সৌন্দর্যের উপভোগ করে পর্যটকরা রাতযাপনও করতে পারবে এই হাউজ বোটগুলোতে। ভেসে বেড়ান, উপভোগ করুন জলপর্বতের ব্যঞ্জনায় অপরূপ সৌন্দর্য। তাই যান্ত্রিক জীবনের নানা কর্মব্যস্ততার ছক থেকে বেরিয়ে এসে পরিবারপরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছুটে আসতে পারেন, রূপের খ্যাত রাঙামাটিতে।

কাপ্তাই হ্রদে ভেসে বেড়ানোর বেশ কয়েকটি হাউজ বোট রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম দ্য রয়েল অ্যাডভেঞ্চার, প্রমোদিনী, রাঙাতরী, স্বপ্নডিঙ্গি, মাউরুন। ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা দম্পতি নির্ঝর ও সোনিয়া বলেন, প্রকৃতির রূপ ও সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে তাঁরা রূপের রানী রাঙামাটিতে এসেছেন। কাপ্তাই হ্রদের জলে ভেসে হাউজ বোটে ঘুরতে তাদের বেশ ভালো লাগছে। কারণ প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য্য কাছ থেকে উপভোগ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। এছাড়াও এ হাউস বোটে রাতযাপনের সুযোগও রয়েছে এবং খাবার রেস্টুরেন্টও রয়েছে।

বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে সুভাষ বলেন, তিনি পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। এই ধরনের হাউজ বোট তিনি কাশ্মীরে দেখেছেন। এখন আমাদের দেশে এই ধরনের বোটের সুবিধা থাকায় কাউকে আর বাইরে দেশে যেতে হবে না।

এ প্রসঙ্গে সিএইচটি ট্যুরিজম অ্যান্ড কালচার রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মো. নুরুল আমিন জানান, রাঙামাটিতে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে হাউস বোট নতুনভাবে সূচনা হয়েছে। আগে যারা হাউজ বোট তৈরি করে কাপ্তাই হ্রদে নামলো তারা বেশ সাড়া পাচ্ছে। এটি রাঙামাটি পর্যটন শিল্পের জন্য ভালো ভূমিকা রাখবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় আ. লীগের কমিটিতে বিস্ফোরক মামলার আসামি
পরবর্তী নিবন্ধপাল্টে যাচ্ছে মগনামা