উন্নয়ন-অগ্রগতির বিশ্বস্বীকৃতি

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ

দেশবাসীসহ সমগ্রবিশ্ব অবগত আছেন ২০১৫-২০২১ ছয় বছরে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) কর্তৃক দুটি ত্রিবার্ষিক পরিশুদ্ধ মূল্যায়নে বাংলাদেশ এ বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়। এই উত্তরণের পিছনে মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা এই তিনটি প্রধান সূচককেই প্রধান্য দেওয়া হয়। এর দুটি সূচকে সক্ষমতা অর্জনের শর্তে উন্নয়ন অবস্থান নির্ধারণ করা হলেও; মহান স্রষ্টার অপার কৃপায় এবং বঙ্গকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার অভিযাত্রার সাফল্য হিসেবে তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ অগ্রগণ্য অবস্থান নিশ্চিতে সক্ষম হয়। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের (ইকোসক) সামষ্টিক পর্যালোচনায় মাথাপিছু আয়ের সীমারেখা কমপক্ষে ১ হাজার ২ শত ৩০ মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের বর্তমান মাথাপিছু আয় প্রায় ২ হাজার ৫০০ ডলার। মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার সূচকে যথাক্রমে প্রয়োজনীয় ৬৬ ও ৩২ বা তার চেয়ে কম শতাংশের বিপরীতে বাংলাদেশের অর্জন ছিল ৭২.৯ এবং ২৪.৮ শতাংশ। ২৬ নভেম্বর ২০২১ গণমাধ্যম সূত্রমতে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের মধ্য দিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন বাংলাদেশের চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটল। সাধারণত স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে প্রস্তুতির জন্য তিন বছর সময় দেওয়া হলেও করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি বিবেচনায় পাঁচ বছর প্রস্তুতির সময় পাওয়া গেল।
বিশ্বব্যাংকসহ প্রায় সকল খ্যাতিমান সংস্থার মতানুসারে, আর্থ-সামাজিক খাতে অধিকাংশ সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়াকে ছাড়িয়ে গেছে। সাম্প্রতিককালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ২০২৪ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক তৃতীয় ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনায় উল্লেখ্য সূচকসমূহের ধারাবাহিকতার বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে। প্রাসঙ্গিকতায় মানবসম্পদ উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও দৃশ্যমান সফলতা নিশ্চিতকরণে মনোযোগী হওয়ার জন্য তাঁর যথার্থ বার্তাটি ছিল প্রারব্ধ সময়োপযোগী। মানবসম্পদ উন্নয়নের সমূহ সম্ভবনাকে অত্যুজ্জল করার নানামুখী উদ্যোগ অতিসম্প্রতি নতুন সফলতার দ্বার উম্মোচন করেছে। ১৪ জুন, ২০২১ প্রকাশিত জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক প্রতিবেদন ও ১৬ জুন ২০২১ গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ছয় বছর আগে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) স্থির করার পর যে তিনটি দেশ তাদের আগের অবস্থান থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বিশ্বের ১৬৫ টি দেশের মধ্যে এবারের এসডিজি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম এবং ২০১৭ সালে ১৫৭টি দেশের মধ্যে ছিল ১২০তম।
এসডিজি লক্ষ্য পূরণের পথে ২০১০ সালের পর পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোই বেশি এগিয়েছে এবং ২০১৫ সালের পর সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে বাংলাদেশ, আইভরি কোস্ট ও আফগানিস্তান। বর্তমানে এসডিজি সূচকে বাংলাদেশের সামগ্রিক স্কোর ১০০ এর মধ্যে ৬৩.৫। ২০২০, ২০১৯, ২০১৫ ও ২০০০ সালে এই স্কোর ছিল যথাক্রমে ৬৩.২৬, ৬৩.০২, ৫৯.০১ ও ৫৭.৫৬। অন্য দুটি দেশের মধ্যে আইভরি কোস্ট ৫৭.৫৬ স্কোর নিয়ে ১৩১তম এবং আফগানিস্তান ৫৩.৯৩ স্কোর নিয়ে ১৩৭তম অবস্থানে রয়েছে। ২০১৫ সালে দেশ দুটির স্কোর ছিল যথাক্রমে ৫৩.৩৫ এবং ৪৯.৬৩। তালিকায় ৮৫.৯ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ফিনল্যান্ড এবং ৩৮.২৭ স্কোর নিয়ে সবনিম্ন পর্যায়ে আছে আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র। বিগত বছরগুলোতে স্কোরের দিক দিয়ে অত্যধিক অবনতি ঘটেছে ভেনেজুয়েলা, টুভালু ও ব্রাজিলের।
মূলত: দেশের যোগাযোগ খাতে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণের যাত্রা শুরু হয় আশির দশকে। কিন্তু গত এক যুগে এই খাতে বিনিয়োগের গতিপ্রবাহ অনেক বেড়েছে। ফলশ্রুতিতে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানেলের মতো বৃহৎ বৃহৎ অবকাঠামোগুলো চালু হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের আলোচিত এসব অবকাঠামো চালু হলে যোগাযোগ ও পরিবহন খাত নতুন যুগে প্রবেশের স্মারক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। দেশবাসী সম্যক অবগত আছেন যে, স্বাধীনতার অব্যবহতির পর থেকে এ পর্যন্ত জাতির জনকের স্বপ্ন পূরণে সবচেয়ে বৃহৎ প্রকল্পটি হচ্ছে ‘পদ্মাসেতু’ নির্মাণ। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থানকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অনন্য উচ্চতায় সমাসীন করার অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতির যুগান্তকারী মাইলফলক হিসেবে এই সেতু নির্মাণ অগ্রগণ্য। ৬.১৫ কিলোমিটারের পদ্মাসেতুকে দৃশ্যমান করায় পুরো জাতি ও বিশ্ববাসীকে অসাধারণ কৌতুহল ও দেশের বিস্ময়কর অর্জন-মুকুটে নতুন পালকের অপরিমেয় শোভিত কৃত্তাভিষেক সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছর জুন মাসের মধ্যে বহুল আলোচিত পদ্মাসেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোকে ঢাকাসহ সারাদেশের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের আওতায় নিয়ে এসে দেশকে উন্নয়নের কোন পর্যায়ে এগিয়ে দেবে- নি:সন্দেহে তা দেশবাসী অন্তর্দৃষ্টিতে উপলব্ধি করতে পারছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যমতে, ২০১৮ সালে করা বুয়েটের এক সমীক্ষায় দেখা যায় যনজটের কারণে রাজধানীতে যানবাহনের ঘন্টায় গতিবেগ হাঁটার সমতুল্য গড়ে ৫ কিলোমিটার। ১২ বছর পূর্বে তা ছিল ঘন্টায় ২১ কিলোমিটার। ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকে থাকার ফলে শুধু ঢাকায় দৈনিক প্রায় ৫০ লাখ শ্রমঘন্টা নষ্ট হচ্ছে। যার অর্ার্থিক ক্ষতি বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা। সরকার রাজধানীর জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসন, অর্থনীতির গতি বাড়া এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল পথ নির্মাণ কাজ শুরু করে। ইতিমধ্যে ঢাকাবাসীসহ দেশের প্রায় সকল জনগণ প্রথম মেট্টারেলের পরীক্ষামূলক চলাচল পর্যবেক্ষণ করেছেন। আগামী বছরের শেষের দিকে আংশিক অংশে এই ট্রেন যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। চট্টগ্রামকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনায় কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের কর্মযজ্ঞ বিবেচনায় নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে এর মধ্যে ৭৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ কাজের অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। চুক্তি মোতাবেক আগামী বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাবি করছেন।
উল্লেখ্য সাফল্যগাথায় সমুদ্র সম্পদকে যথাযথ আহরণ-ব্যবহার-রপ্তানির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিমান করার অভূতপূর্ব সম্ভবনার দ্বার উম্মোচিত হয়েছে। সমুদ্র অর্থনীতি (ব্লু-ইকোনমি) সংশ্লিষ্ট গবেষণা ও সম্পদ আবিস্কার-আহরণ-প্রয়োজনীয় ব্যবহার এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে এর অবদানকে কতটুকু যৌক্তিক ও তাৎপর্যপূর্ণ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজনীয়তা অবশ্যম্ভাবী। ২০১৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় ২য় এবং বিশ্বের ১২তম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং ২০১৮ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সদর দপ্তরের সহায়তায় ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিটাইম রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ (রিমরাড) প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্যই ছিল সমুদ্র অর্থনীতির সমৃদ্ধকরণে গবেষণা-জ্ঞানসৃজন-উপযোগী মানবসম্পদ উৎপাদন এবং সুনীল অর্থনীতির সুরক্ষা-আহরণ-সংরক্ষণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ প্রমূর্ত ভূমিকা পালন। এরপর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৭ সালে ‘ব্লু-ইকোনমি সেল’ গঠন করে সমুদ্র সম্পদ সুরক্ষায় ২০১৯ সালে মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়েছে।
একবিংশ শতাব্দীর নতুন অভিযাত্রা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তথ্য প্রযুক্তির নবনব উদ্ভাবন এবং অপব্যবহারের প্রক্রিয়াকে সংকুচিত করে যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে মানবিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণ। যে চারটি মৌলিক ধারণাকে ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রধান উপাদান হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে তাহল: ক) কানক্টিং বাংলাদেশ খ) দক্ষ মানবসম্পদ গ) ই-গভর্নমেন্ট এবং ঘ) ইন্ডাস্ট্রি প্রোমোশন। ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ সাল দেশে প্রথমবারের মত জাতীয় তথ্য ও প্রযুক্তি দিবস উদযাপনের মাধ্যমে যেসব উদ্যোগ সমূহকে গুরুত্বসহকারে পুরো দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে তা পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য ১২ই মে ২০১৮ বাংলাদেশের জন্য গৌরবের এক নতুন মাইলফলক সূচিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপনের মাধ্যমে। ৫৭তম দেশ হিসেবে মহাকাশ জয় করে বিরল সম্মান অর্জনের মাধ্যমে উড্ডীয়মান বিশ্বইতিহাসে নবতর অধ্যায় রচনা করেছিল বাঙালি জাতিরাষ্ট্র। শুধু মহাকাশজয় নয় প্রতিটি ক্ষেত্রে এর ব্যবহারকে সমৃদ্ধকরণ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে নগর ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন-যাপনের সকল মঙ্গল নিশ্চিতকল্পে এটি আরো অধিকতর এগিয়ে যাক এটিই প্রত্যাশিত।
ঢাকাস্থ মার্কিন রষ্ট্রদূতসহ প্রায় বিশিষ্টজনদের উচ্চারণে বাংলাদেশ ‘উদীয়মান ব্যাঘ্র’ থেকে যথার্থ অর্থে প্রকৃত ব্যাঘ্রের ক্যানভাসে রূপান্তরিত হয়েছে। বিশিষ্ট গবেষকবৃন্দের প্রকাশিত নিবন্ধ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংকের পাকিস্তান কর্মসূচির সাবেক উপদেষ্টা আবিদ হাসান পাকিস্তানের শীর্ষ এক জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত মতামত কলামে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের বর্তমান সরকারসহ প্রত্যেক সরকারই বিশ্বজুড়ে ভিক্ষার বাটি নিয়ে ঘুরছে। ২০ বছর আগে এমনটাই ভাবাই যেত না যে, ২০২০ বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। অতীতের মতো একই গতিতে বাড়তে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি অর্থনৈতিক পাওয়ারহাউজে পরিণত হতে পারে। পাকিস্তান যদি বর্তমানের মতো মন্দা গতি বজায় রাখে তাহলে এমনটা ঘটা সম্ভব যে, ২০৩০ সালে বাংলাদেশ থেকেই উল্টো আমাদের সাহায্য চাইতে হবে।’
দেশরত্ন শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক চেতনায় দেশের সকলকে সাথে নিয়ে ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত করার জন্য প্রতিনিয়ত রোডম্যাপ বা রূপকল্প প্রণয়ন/কার্যকর করার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখা, মসৃণ ও টেকসই উত্তরণ নিশ্চিত করা এবং প্রস্তুতিকালীন সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিশেষে জাতীয় কবি কাজী নজরুলের কবিতা ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ কবিতার কয়েকটি পংক্তি উচ্চারণে নিবন্ধের ইতি টানছি। ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর/ ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কালবোশেখীর ঝড়/ তোরা সব জয়ধ্বনি কর/ আসছে এবার অনাগত প্রলয় নেশায় নৃত্য পাগল/ সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে ধমক ভেনে ভাঙলো আগল/ মৃত্যুগহন অন্ধকূপে মহাকালের চন্ডরূপে ধূম্রধূপে/ বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে আসছে ভয়ংকর/ ওরে ওই হাসছে ভয়ংকর/ তোরা সব জয়ধ্বনি কর/…….দিগম্বরের জটায় লুটায় শিশু চাঁদের কর/ আলো তার ভরবে এবার ঘর/ তোরা সব জয়ধ্বনি কর/’
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধপ্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ